
সংগৃহীত
ভারতের কর্ণাটকে হানি ট্র্যাপ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কর্ণাটকের মন্ত্রী কে এন রাজান্না দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য পর্যায়ের প্রায় ৪৮ জন রাজনীতিবিদ হানি ট্র্যাপের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যও (এমপি) রয়েছেন।
গত মঙ্গলবার কর্ণাটক বিধানসভায় দেওয়া এক ভাষণে তিনি এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
হানি ট্র্যাপের কেন্দ্রবিন্দু কর্ণাটক?
কে এন রাজান্না তার ভাষণে বলেন, ‘আমার কাছে তথ্য আছে যে, কর্ণাটকে অন্তত ৪৮ জন প্রভাবশালী নেতা হানি ট্র্যাপের শিকার হয়েছেন। এটি শুধু একটি দলের বিষয় নয়, বরং বহু রাজনীতিক এতে জড়িত হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, কর্ণাটককে ‘হানি ট্র্যাপের কারখানা’ বলা হয়। তার অভিযোগ, ‘তুমকুরু জেলায় দুইজন মন্ত্রী হানি ট্র্যাপে ফেঁসে গেছেন।’ তিনি বিষয়টি তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথাও জানান।
কীভাবে হচ্ছে হানি ট্র্যাপ?
কে এন রাজান্নার ছেলে, আইনসভার সদস্য রাজেন্দ্র, জানান, গত ছয় মাস ধরে রাজনৈতিক নেতাদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ‘তারা হোয়াটসঅ্যাপে কল বা বার্তা পাঠিয়ে রাজনীতিকদের জালে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। আমরা এই সিন্ডিকেটকে দুই মাস ধরে ট্র্যাক করার চেষ্টা করছি।’
তদন্তের দাবি ও প্রতিক্রিয়া
গণপূর্তমন্ত্রী সতীশ জারকিহোলি বলেন, ‘হানি ট্র্যাপ কোনো নতুন ঘটনা নয়। এটি রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ। কিছু ব্যক্তি এটিকে রাজনৈতিক বিনিয়োগ হিসেবে ব্যবহার করছে।’
তিনি আরও জানান, ‘এর আগেও একজন মন্ত্রীকে দুইবার হানি ট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল, তবে তা সফল হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করা জরুরি।’
অন্যদিকে কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বরা জানান, তিনি এখনো এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাননি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছ থেকে তথ্য চাইবেন।
জাতীয় রাজনীতিতে তোলপাড়
কে এন রাজান্নার বক্তব্যের পর কর্ণাটকসহ ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই কেলেঙ্কারির তদন্ত হলে ভারতের রাজনৈতিক মহলে বড় ধরনের ঝড় বইতে পারে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ