
ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজা অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান হামলায় আরও ২৩ জন নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে শিশুও রয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার ভোরে এই হামলা চালানো হয়, যার ফলে অনেকেই আহত হয়েছেন। খবরটি নিশ্চিত করেছে আল জাজিরা।
গত সোমবারও ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৬৫ জন নিহত হয়েছেন, যা ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। বর্তমানে গাজা পরিস্থিতি খুবই সংকটময়, আর এই আবহে মিশর যুদ্ধবিরতির জন্য নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।
গাজায় ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হলেও, ১৮ মার্চ ইসরায়েল ফের হামলা চালাতে শুরু করে, যার ফলে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪০০ জনই নারী ও শিশু। হামাস দাবি করেছে, তাদের কয়েকজন শীর্ষ নেতা এই হামলায় নিহত হয়েছেন।
মিশরের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, হামাস প্রতি সপ্তাহে পাঁচজন ইসরায়েলি সেনা মুক্তি দেবে, এবং ইসরায়েল প্রথম সপ্তাহের শেষে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়ন করবে। বর্তমানে হামাসের হাতে ৫৯ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে, যাদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, গাজার রাফা শহরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী তেল আল-সুলতান এলাকায় প্রবেশ করার পর হাজার হাজার মানুষ আটকা পড়েছে, যারা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে খাবার, পানি ও ওষুধ ছাড়াই দিন কাটাচ্ছে। ফিলিস্তিনি নাগরিক সুরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, রাফায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আটকা পড়েছে, এবং তাদের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, সাম্প্রতিক হামলায় গাজার ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সংস্থাটি মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, অবরোধ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, অন্যথায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
মিশরের প্রস্তাবে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের সময়সূচি এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিশ্চয়তা দেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, এবং এর বিনিময়ে হামাস জিম্মিদের মুক্তি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বাংলাবার্তা/এমএইচ