
ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়া এবং ইউক্রেন কৃষ্ণসাগরে সংঘাত বন্ধে সম্মত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে। সৌদি আরবে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত এসেছে। সিএনএন সূত্রে জানা যায়, রাশিয়া ও ইউক্রেনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি অনুযায়ী, কৃষ্ণসাগরে নিরাপদ নৌযান চলাচল নিশ্চিত করার জন্য বল প্রয়োগ বন্ধ করতে এবং সামরিক উদ্দেশ্যে বাণিজ্যিক জাহাজের ব্যবহার রোধ করতে সম্মত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ইউক্রেন এবং রাশিয়া কৃষ্ণসাগরে সামরিক শক্তি ব্যবহার বন্ধে সম্মত হয়েছে। তবে তিনি এটাও বলেন, এই চুক্তিটি একটি প্রথম পদক্ষেপ মাত্র এবং এর বিস্তারিত বিবরণ এখনও সামনে আসেনি।
এদিকে, মস্কো এই চুক্তির ব্যাপারে তেমন কোনো মন্তব্য করেনি। গত সোমবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যকার বৈঠকটি ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানায় রাশিয়া। বৈঠক শেষে উভয় দেশের কর্মকর্তারা আলোচনার ধারাবাহিকতায় ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেন।
তবে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফের উপদেষ্টা সের্হি লেশচেঙ্কো রাশিয়ার শান্তি আলোচনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তার দাবি, রাশিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়, ফলে শান্তি আলোচনা শেষমেশ সফল হতে পারে না।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির আলোচনার মাঝেও রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা অব্যাহত রেখেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়া ১৩৯টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে এবং ইস্কান্দার-এম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এতে ৮৮ জন আহত হয়েছেন এবং বহু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউক্রেন দাবি করেছে, তারা শতাধিক ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে "প্রতিহিংসামূলক" কর্মকাণ্ড হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, শান্তি আলোচনা যেন বাস্তবায়িত হয়, এর জন্য মস্কো জাতিসংঘকে এই আলোচনায় যুক্ত করতে চায়। তবে যুদ্ধবিরতির আলোচনা নিয়ে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে মতপার্থক্য বেড়েই চলেছে।
এই পরিস্থিতির মধ্যে, শান্তি প্রতিষ্ঠা নিয়ে ফাঁপা বক্তব্য বাদ দিয়ে মস্কোকে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা। তিনি জানান, রাশিয়া একদিকে হামলা অব্যাহত রেখেছে, অন্যদিকে শান্তির কথা বলছে, যা ইউক্রেনের কাছে অত্যন্ত বিরক্তিকর।
বাংলাবার্তা/এমএইচ