
ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমারে শক্তিশালী ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়েছে এবং আহত হয়েছেন ২,৩৭৬ জন। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, মৃতের সংখ্যা ১০ হাজারে পৌঁছাতে পারে।
ভূমিকম্পটি ছিল গত এক শতাব্দীর মধ্যে মিয়ানমারে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী। এটি শুধু মিয়ানমারেই নয়, প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডেও তীব্র প্রভাব ফেলেছে। থাইল্যান্ডে ভূমিকম্পের কারণে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ব্যাংককের একটি ৩০ তলা ভবন ধসে পড়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন নির্মাণশ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।
মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় শহরগুলোর মধ্যে মান্দালয় এবং ইয়াংগুনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মান্দালয়ের ঐতিহাসিক অনেক ভবন ধসে পড়েছে এবং উদ্ধারকর্মীরা খালি হাতে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবিতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। ইয়াংগুনে বিদ্যুৎ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার সাগাইং, ম্যান্ডালে, মাগওয়ে, বাগো, ইস্টার শান রাজ্য এবং নেপিডো অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। দেশটির সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছে এবং পুনর্বাসন ও উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তার জন্য চীনের একটি ৩৭ সদস্যবিশিষ্ট মেডিক্যাল রেসকিউ টিম মিয়ানমারে পাঠানো হচ্ছে।
ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারে ১৪টি আফটারশক অনুভূত হয়েছে এবং আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই আশঙ্কায় অনেক মানুষ গত রাতে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন।
থাইল্যান্ডে ভূমিকম্পের প্রভাব অনেক বেশি অনুভূত হয়েছে। ব্যাংককে অন্তত ১০০ জন নির্মাণশ্রমিক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের উদ্ধারে চলছে তীব্র উদ্ধার অভিযান।
মিয়ানমারের বিরোধী দল ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইলে, তা যেন স্বাধীনভাবে এবং স্থানীয় নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিতরণ করা হয় বলে দাবি করেছে।
এখন পর্যন্ত এই ভূমিকম্পের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে, তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ