
ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমারে ভূমিকম্পের ভয়াবহতা ক্রমেই বাড়ছে। নিহতের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়েছে, আহত হয়েছেন ৩,৪০০ জনের বেশি এবং নিখোঁজ রয়েছেন দুই শতাধিক।
কিন্তু সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো—এই বিপর্যয়ের মাঝেও দেশটিতে সামরিক বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে, যা উদ্ধার কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে।
উদ্ধার অভিযানের কঠিন বাস্তবতা
মান্দালয়ের ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে গর্ভবতী নারী ও এক শিশু রয়েছে।
চীনা উদ্ধারকারী দল এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
ড্রোন ফুটেজে দেখা গেছে, বিশাল বহুতল ভবন স্তরে স্তরে ধসে পড়েছে।
কিন্তু, মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধের কারণে ত্রাণ কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ, সামরিক বাহিনী ভূমিকম্পের পরও বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যা উদ্ধার কাজকে আরও কঠিন করে তুলছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া
সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন, বাংলাদেশসহ একাধিক দেশ ত্রাণ ও উদ্ধার সহায়তা পাঠিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ২ মিলিয়ন ডলারের মানবিক সহায়তা ঘোষণা করেছে।
থাইল্যান্ডের পরিস্থিতি
এদিকে, থাইল্যান্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ জনে। ব্যাংককে ধসে পড়া একটি বহুতল ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে সোমবার আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তবে এখনও ৭৫ জন নিখোঁজ রয়েছে।
ব্যাংককের ডেপুটি গভর্নর জানিয়েছেন, ৭২ ঘণ্টা পার হলে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা কমে যায়, তাই উদ্ধার অভিযান দ্রুততর করা হচ্ছে।
ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি ও আশঙ্কা
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্যমতে, মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ২,০২৮ জন ছাড়িয়েছে।
বিরোধী দল NUG-এর দাবি, এই সংখ্যা আরও বেশি—প্রায় ২,৪১৮ জন।
উদ্ধারকারী দলগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত সম্ভব, তারা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাবে। চীনের উদ্ধারকারী দলের প্রধান ইউয়ে শিন বলেন, "সময় গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা মানুষের জন্য আশার আলো জ্বালাতে পারছি কিনা।"
বাংলাবার্তা/এমএইচ