
ছবি: সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতি আবারও ঘোলাটে হয়ে উঠেছে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলের আশদোদ শহরের দিকে নতুন করে রকেট হামলার মধ্য দিয়ে। রোববার রাতে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড এই হামলা চালায় বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে তারা।
বিবৃতিতে আল-কাসাম ব্রিগেড জানায়, ইসরাইলি বাহিনীর দ্বারা গাজা ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যেসব গণহত্যা ও বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটছে, তার প্রতিশোধ হিসেবেই আশদোদের দিকে রকেট ছোড়া হয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে মোট ১০টি রকেট ছোড়া হয়, যার মধ্যে কয়েকটি তাদের ‘আয়রন ডোম’ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে। তবে কয়েকটি রকেট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানায় আশদোদ, আশকেলন ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সাইরেন বেজে ওঠে, বাসিন্দারা দৌড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যায়।
আশকেলনের মেয়র জানিয়েছেন, শহরের একটি অংশে রকেট বিস্ফোরণে একজন সামান্য আহত হয়েছেন এবং কিছু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হিব্রু নিউজ চ্যানেল ১৩ দাবি করেছে, হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন এবং তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চ্যানেল ১২-এর দাবি অনুযায়ী, রকেটগুলো ছোড়া হয়েছে গাজার দেইর আল-বালাহ অঞ্চল থেকে।
তবে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই এলাকায় তাদের তৎকালীন কোনো সামরিক উপস্থিতি ছিল না, ফলে কীভাবে এবং কোথা থেকে হামলা হলো, সে বিষয়ে তারা আরও তদন্ত করছে।
ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, "এই রকেট হামলা আবারও প্রমাণ করে যে হামাসকে শুধু প্রতিহত করলেই চলবে না, তাদের পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করতে হবে।" তার এই মন্তব্য আরও একবার সংকট ঘনীভূত হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এ ধরনের রকেট হামলা ও পাল্টা প্রতিক্রিয়া ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকটকে আরও জটিল করে তুলছে। সাধারণ মানুষ—ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলি উভয় পক্ষই—এই সংঘাতের প্রধান ভুক্তভোগী হয়ে উঠছে। বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, যদি দ্রুত কূটনৈতিকভাবে এই উত্তেজনা প্রশমিত না করা যায়, তাহলে তা আরও বড় সংঘাতে রূপ নিতে পারে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ