
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর চীনের প্রতি আগের চেয়ে আরও কড়া অবস্থান নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি তার ঘোষণার আলোকে আজ বুধবার থেকে চীনের কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর ১০৪ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক কার্যকর হচ্ছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, “ওয়াশিংটন সময় রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে এই নতুন শুল্ক কার্যকর হবে।” প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন মনে করছে, চীনের বিপুল রপ্তানি এবং বাণিজ্য উদ্বৃত্ত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাই ‘আমেরিকান ফার্স্ট’ নীতির আওতায় শুল্ক বৃদ্ধির এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্পের এই ঘোষণার আগেই চীন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ পাল্টা শুল্কের ঘোষণা দেয়, যা বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। এর আগে ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ২০ এবং ৩৪ শতাংশ করে দুই দফায় শুল্ক বসান। চীনের পাল্টা পদক্ষেপের জবাবে এবার তৃতীয় দফায় আরও বড় আকারে শুল্ক বসানো হলো, যা ব্যবসায়িক ও কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলছে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এর প্রতিবাদে এক কঠোর বিবৃতিতে জানিয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রতারণামূলক ও একতরফা আচরণ মেনে নেওয়া হবে না। শেষ পর্যন্ত লড়াই চলবে।” বেইজিং এটিকে একটি ‘প্রচণ্ড উসকানি’ হিসেবে দেখছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই শুল্ক যুদ্ধ দুই দেশের অর্থনীতি ছাড়িয়ে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইন ও বাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে প্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক্স, ও কৃষিপণ্যের দাম বাড়বে—এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ