
ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েল বাহিনী একটি আবাসিক ভবনে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে, যাতে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৩৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বুধবার গাজা শহরের শেজাইয়া পাড়ায় এই হামলা হয়, যা স্থানীয় জনগণের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে। হামলায় বহু মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন এবং বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃতদের মধ্যে আটজন নারী ও আটজন শিশু রয়েছে, যাদের মৃত্যু ঘটেছে ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে।
এছাড়া, আহতদের মধ্যে ৮৫ জনেরও বেশি মানুষ রয়েছে, যারা অধিকাংশই গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসা পাচ্ছেন। হামলার পর থেকে গাজার সঠিক পরিস্থিতি তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকরা চেষ্টা করছেন, কিন্তু অবরোধ এবং হামলার কারণে সঠিক তথ্য আদান-প্রদান কঠিন হয়ে পড়েছে।
গাজার ভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, নিহতদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি এবং বেশ কিছু শিশু এখনও মাটির তলায় চাপা পড়ে আছেন। বর্তমানে উদ্ধার কাজ চলছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আরো ৩৪ জন নিখোঁজ রয়েছে, যাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশুও রয়েছে। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাজায় আকাশপথে ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে।
বিশ্ববাজার এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলি এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এই নৃশংস আক্রমণের সমালোচনা করেছে। এদিকে, গাজার পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে, বিশেষ করে ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতির পর ফের ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর।
অন্যদিকে, সামরিক অভিযান স্থগিত করা হলেও, হামাসের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই ইসরায়েল গাজায় ফের বিমান হামলা চালাচ্ছে। এতে মানবিক বিপর্যয় আরও ঘনীভূত হয়েছে এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি কঠিন সময়ের সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ