
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা শুল্কনীতি যখন বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলছে, তখনই মুক্তবাণিজ্যের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে একাট্টা হচ্ছে বিশ্বের অনেক দেশ। বিশ্বজুড়ে নতুন করে মুক্ত, স্বচ্ছ ও ন্যায্য বাণিজ্যের প্রয়োজনীয়তা যেন আরও জোরালো হয়ে উঠেছে।
গত মাসেই দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও জাপানের মন্ত্রীরা একত্রিত হয়ে আঞ্চলিক মুক্তবাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করেছেন। এবার সেই ধারা অব্যাহত রেখে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াও জানিয়েছে, তারা সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য গড়ার বিষয়ে আলোচনা করছে।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন, তিনি সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ার নেতাদের সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে মুক্তবাণিজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলাপ করেছেন। পাশাপাশি তিনি ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দের লিয়েনের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি উয়ং বলেন, ‘আমরা মুক্ত, স্বচ্ছ এবং ন্যায্য বাণিজ্যে বিশাল সম্ভাবনা দেখছি। এই শুল্কনীতি আমাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থার প্রতি আস্থা নড়বড়ে করছে। তাই আমাদের উচিত একটি যৌথ জবাব প্রস্তুত করা।’
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে যে দেশগুলো একত্রিত হচ্ছে, তাদের অনেকেই সিপিটিপিপি (CPTPP)-এর সদস্য, একটি উচ্চমানের মুক্তবাণিজ্য জোট। এই জোটে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ছাড়াও রয়েছে কানাডা, চিলি, জাপান, মেক্সিকো ও যুক্তরাজ্য।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই জোট যদি শক্তিশালী ও কার্যকর হয়, তবে এটি ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের একতরফা বাণিজ্য নীতির বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী ব্যালান্স গঠন করতে পারে। বিশ্বের ব্যবসায়িক কাঠামো পুনর্গঠনে এই প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অনেকে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ