
ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এক মন্ত্রিসভার বৈঠকে জানিয়েছেন, তিনি ক্রমবর্ধমান যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আগ্রহী এবং এ লক্ষ্যে চীনের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি করতে চান। বৈঠকটি ছিল সংবাদমাধ্যমের জন্য উন্মুক্ত এবং সেখানে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টও।
অর্থমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করা গেলে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। তার বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, “চীনের সঙ্গে চুক্তি করতে পারলে সেটা ভালো লাগবে।”
ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, আলোচনা সফল হলে দুই দেশের জন্যই ‘ভালো কিছু একটা’ করা সম্ভব হবে। তার ভাষ্যমতে, বাণিজ্য যুদ্ধের পথ থেকে ফিরে এসে পারস্পরিক উপকারে চুক্তি করা এখন সময়ের দাবি।
বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতিতে একটি বড় পরিবর্তন আনার জন্য তিনি প্রস্তুত। তার মতে, আমদানিকৃত পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক থেকে যে বিপুল রাজস্ব আসছে, তা জাতীয় ঋণ পরিশোধে ব্যবহার করা যেতে পারে।
চুক্তির সম্ভাবনা প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, তার প্রশাসন এখন একাধিক দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির ব্যাপারে ‘খুব কাছাকাছি’ অবস্থানে রয়েছে। তবে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি চীনের সঙ্গে কোনো চুক্তি না হয়, তাহলে ৯০ দিনের বিরতির পর আবারও উচ্চতর শুল্ক কার্যকর করা হবে। তিনি স্পষ্ট জানান, কোনো দেশ বা কোম্পানিকে ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা তার প্রশাসনের নেই।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসন এর আগে চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে। তবে অন্যান্য দেশকে সাময়িক ছাড় দিয়ে ৯০ দিনের জন্য নতুন শুল্ক আরোপ স্থগিত রাখা হয়েছে। এই চুক্তির ভবিষ্যত নির্ভর করছে আগামী দিনের আলোচনা কতটা ফলপ্রসূ হয়, তার ওপর।
বাংলাবার্তা/এমএইচ