
ছবি: সংগৃহীত
তুরস্কের আন্তালিয়ায় অনুষ্ঠিত একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সম্মেলনে গাজায় অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবিতে একমত হয়েছে মুসলিম বিশ্বের একাধিক প্রভাবশালী দেশ। ১২ এপ্রিল শুক্রবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে অংশ নেয় ফিলিস্তিন, তুরস্ক, সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন, কাতার, জর্ডান ও ইন্দোনেশিয়া। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয় বন্ধে যুদ্ধবিরতিকে একমাত্র বাস্তবিক সমাধান হিসেবে উল্লেখ করেন।
বিশেষভাবে, সম্মেলনে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, “মানবিক সহায়তার প্রবেশ যুদ্ধবিরতির সঙ্গে শর্তযুক্ত হতে পারে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এখনই কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে।” তিনি গাজায় শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য চলমান আন্তর্জাতিক আলোচনা প্রক্রিয়ার প্রতি সৌদি আরবের দৃঢ় সমর্থনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারী ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফা, তুরস্কের হাকান ফিদান এবং মিসরের বাদর আবদেলআত্তিও সম্মেলনে গাজার মানবিক বিপর্যয়ের ভয়াবহতা তুলে ধরেন। তারা বলেন, যুদ্ধবিরতি ছাড়া ফিলিস্তিন সংকটের দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমাধান সম্ভব নয়।
বৈঠক শেষে একটি যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় যে, ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র স্থানান্তরের প্রস্তাব দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তারা জোরপূর্বক বিতাড়ন বা স্থানান্তরের নীতিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়:
-
ফিলিস্তিনের গাজা, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমকে একত্র করে পূর্ণ কর্তৃত্বে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
-
UNRWA-এর প্রতি পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে, যাতে শরণার্থীদের সহায়তা কার্যক্রম চলমান রাখা যায়।
-
দখলকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইসরাইলি বসতি সম্প্রসারণ, জমি দখল এবং ঘরবাড়ি ধ্বংসের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে।
এই ঐক্যমত্য মুসলিম বিশ্বের মধ্যে ফিলিস্তিন প্রশ্নে নতুন করে এক দৃঢ় অবস্থান তৈরি করেছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ