অভিবাসীদের বৈধতার দাবিতে বিক্ষোভ। ছবি: বাংলাবার্তা
ইতালিতে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতার দাবিতে আবারও রাজপথে বাংলাদেশীসহ বিদেশীরা। জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব প্রদান, স্ট্রেট পারমিট নবায়নে দীর্ঘসূত্রিতার অবসানসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে রাজধানীর রোমে।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ইতালিতে আসা অবৈধদের অবিলম্বে বৈধতার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশীরা। ইতালীয়সহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা রাজপথে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে।
আরও পড়ুন>> যে অভিশাপ কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে একটি প্রজন্মকে
ইতালিতে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বহুবার বৈধতার পথ উন্মুক্ত হয়েছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী রোমানো প্রদী, সিলভিও বের্লোসকনি ক্ষমতাসীন থাকাকালেও প্রবাসীরা রাজপথে আন্দোলন করে দাবি আদায় করেছিল।
রাজধানী রোমে বাংলাদেশীদের প্রাণকেন্দ্র পিয়াচ্ছা ভিত্তোরিওতে সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ বের হয়। মিছিলটি রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পিয়াচ্ছা ভেনিসিয়া গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের নারী-পুরুষ এবং শিশুরাও অংশগ্রহণ করে। বিভিন্ন দাবিতে এই সমাবেশ থেকে মুহুর্মুহু স্লোগান দেয়া হয়।
আরও পড়ুন>> বিটিভির দুর্নীতির রাণী মাহফুজা আক্তার
এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন ইতালির জাতীয় সংসদের মধ্য বামপন্থী সংসদ সদস্য আবু বাকার সোমাহুরু। মানবিক কারণে প্রবাসীদের দাবি মেনে নেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন,অবৈধের বৈধতা পাবার মানবিক অধিকার রয়েছে। এছাড়া যে শিশুর জন্ম হবে ইতালিতে তাকে নাগরিকত্ব দিতে হবে। ভিসার অনুমতি পাবার পর স্ব স্ব দেশ থেকে দ্রুত ইতালিতে প্রবেশের ভিসা দেওয়া উচিত।
বাংলাদেশ সমিতি ইতালির সাবেক সভাপতি এবং ধূমকেতু সোশ্যাল অর্গানাইজেশনের কর্ণধার নুরে আলম সিদ্দিকী বাচ্চু বলেন, ইতালিতে ৭ লাখেরও বেশি-বিদেশি অবৈধভাবে অবস্থান করছেন। এতে করে অল্প বেতনে শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো সম্ভব হচ্ছে। আমরা অবৈধদের বৈধকরণ স্টেপারমিট দ্রুত নবায়ন এবং বাংলাদেশ থেকে দ্রুত ভিসা প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন>> ৩৫শ টাকা বেতনের চাকরি করে শত কোটি টাকার মালিক
ইতালীয় নাগরিক ফ্রান্সেস্কা বলেন, এখানে মানুষ আসে একটি নিশ্চিত জীবনের জন্য। নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য তাদের অধিকার রয়েছে। এই অধিকারের গ্যারান্টি দিতে হবে।
ইটালিয়ান তরুণী আন্না বলেন, এই মেলোনি সরকার আমাদের দাবির ব্যাপারে কানে শোনে না। বিভিন্ন দেশের কমিউনিটির মানুষ আজ সোচ্চার হয়েছে। তাদের অধিকার আদায় করবেই বাংলাদেশীরা আন্দোলনের মাধ্যমে য়দাবী আদায়ের অঙ্গীকার করে বলেন, অবশ্যই জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব প্রদান করা উচিত।
ইতালিতে প্রধানত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েই বাংলাদেশিসহ বিদেশীরা অবৈধভাবে প্রবেশ করে। তবে ভিন্ন দেশ হয়ে সড়কপথেও আসে অনেকে। এছাড়া বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা সিজনাল ভিসা কিংবা কৃষি বিষয়ে এসে সদস্য ফেরত না গিয়ে হয়ে যান অবৈধ।
গেল দুই বছরে শুধুমাত্র ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েই ইতালিতে এসেছে ৩৫ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি। বর্তমানে ইতালিতে ৭ লক্ষাধিক অবৈধ অভিবাসী রয়েছে বলে ধারণা ইমিগ্রেশন আন্দোলনের সাথে যুক্ত কর্মকর্তাদের।
বাংলাবার্তা/এআর