সংগৃহীত ছবি
অমর একুশে বইমেলা বইমেলা ঘিরে বইমেলায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এখানে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলার সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে তিনি এ কথা জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বইমেলাকে কেন্দ্র করে সবধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। লেখক, পাঠক ও দর্শনার্থীরা যেন কোনো ধরনের নিরাপত্তার ঝুঁকি মনে না করেন সেজন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মেলা ঘিরে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। তবে আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না।
তিনি জানান, মেলায় ঢোকা ও বের হওয়ার আলাদা গেট থাকবে। সবাইকে নিরাপত্তার স্বার্থে আর্চওয়েও মেটাল ডিটেক্টর দ্বারা তল্লাশির মাধ্যমে মেলায় প্রবেশ করতে হবে। এছাড়া ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনের গেট দিয়ে গাড়ি নিয়ে ঢোকার ব্যবস্থা থাকবে। শাহবাগ, পলাশীর মোড়, বইমেলা প্রাঙ্গণে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা থাকবে। কন্ট্রোল রুম থেকে সব সময় পর্যবেক্ষণ করা হবে। সাইবার টিম পর্যবেক্ষণ করবে।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, কারো ওপর কোনো হামলার শঙ্কা নেই। লেখক বা প্রকাশক নিরাপত্তার ঝুঁকিতে থাকলে পুলিশকে জানালে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। কেউ উসকানিমূলক বই বের করলে সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি দেখবে।
তিনি জানান, বইমেলায় দর্শনার্থীদের প্রবেশের যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলা একাডেমিতে ২টি আর্চওয়ে, সোহরাওয়ার্দীতে ৩টি আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বন্ধ ও বিশেষ দিনে আইইবির গেট খুলে দেয়া হবে।
ডিএমপি কমিশনার জানান, মেলায় অগ্নিনির্বাপণ ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও থাকবে।
ডিএমপি জানায়, পর্যাপ্ত সংখ্যক সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে পুলিশ ডিউটিতে নিয়োজিত থাকবে। স্ট্যান্ডবাই থাকবে সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড। একাধিক ওয়াচ টাওয়ার দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে পুরো এলাকা।
দর্শনার্থী ক্রেতাদের সুশৃঙ্খলভাবে প্রবেশের আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার।