ফাইল ছবি
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুতের দাম চূড়ান্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। তবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম সমন্বয় উন্মুক্ত বাজারে ছেড়ে দেয়ার চিন্তা করছে সরকার। এছাড়া জ্বালানি খাতকে কিভাবে ভর্তুকি থেকে বের করা যায় সেটিও সরকারের ভাবনায় রয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সমন্বিত মহাপরিকল্পনা বিষয়ক অংশীজন সভা শেষে এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে জ্বালানির দাম সমন্বয় করা হবে। তেলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করা যায় কি না, আমরা সেই বিষয়ে কাজ করছি। এ বিষয়ে নীতিমালাও করা হচ্ছে।
বিদ্যুতের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার আশ্বাস দিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, আগামী ২ বছরের মধ্যে ২ হাজার মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎ আনতে চাই।
গত মাসে বিদ্যুতের পাইকারি দাম ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়। এরপর ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়ানোর আবেদন নিয়ে বিইআরসি’র দ্বারস্থ হয় সব বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি। সেখানে ২০-২৩ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ নিয়ে গণশুনানির জন্য আগামী ৮ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছে বিইআরসি।
বিশ্ববাজারে ব্যারেলপ্রতি জ্বালানি তেলের দাম ৭৫ থেকে ৮০ ডলারে নেমে আসলেও দেশের বাজারে দাম কমানো হয়নি।