ছবি সংগৃহীত
ঢাকা: বাংলাদেশের ৬০ জেলায় ছড়িয়েছে ডেঙ্গু। জুলাইয়ের প্রথম ৯ দিনে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। রোববার (০৯ জুলাই) ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৩৬ জন, আর মারা গেছেন ৬ রোগী।
ডেঙ্গু ভয়াবহ হয়ে ওঠার আশঙ্কার মধ্যে এ বছরে দিনে এত রোগী আর মৃত্যু আগে দেখা যায়নি।
এডিস মশাবাহিত এই রোগ নিয়ে শনিবার ৮২০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর আগে গত ৪ জুলাই একদিনে সর্বাধিক পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।
এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ঢাকাতেই ৫৬ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২৭৫০ রোগী। এদের মধ্যে ঢাকায় ১৯৬৮ এবং ঢাকার বাইরের ৭৮২ জন।
মাসের হিসাবে জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে ১০৩৬ জন এবং জুন মাসে ৫৯৫৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এখন পর্যন্ত মোট ১২ হাজার ৯৫৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে বর্তমানে ২৭৫০ রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে আছেন ১৯৬৮ জন। এদের মধ্যে জানুয়ারিতে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে দুজন, মে মাসে দুজন এবং জুন মাসে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এবার বর্ষা শুরুর আগে থেকেই এডিস মশাবাহিত এ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুমুক্ত রয়েছে গোপালগঞ্জ, কুষ্টিয়া, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ জেলা।
গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ২৮১ জন মারা যায়। এর আগে, ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলায় এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন, যা এযাবৎকালের সর্বাধিক। সরকারি হিসাবে সে বছর মৃত্যু হয়েছিল ১৭৯ জনের। এ ছাড়া ২০২০ সালে সাতজন এবং ২০২১ সালে ১০৫ জন মারা যান।