সংগৃহীত ছবি
রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের আগুন পুরোপুরি নেভাতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। অগ্নিকাণ্ড শুরুর প্রায় ২৮ ঘণ্টা পর আগুন পুরোপুরি নেভানোর ঘোষণা দিল ফায়ার সার্ভিস।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুন লাগে। প্রায় ছয় ঘণ্টা পর সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে তখনও বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলছিল। পরবর্তীতে প্রতিটি দোকান এবং জায়গা তল্লাশি করে শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে পুরোদমে আগুন নির্বাপণের ঘোষণা দেয় ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোর ৩টা ৪৩ মিনিটে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই ৩টা ৫২ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে একে একে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট। প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পরবর্তীতে সার্চ করে শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে পুরোদমে আগুন নির্বাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দেয় পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিয অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও আনসার-এর সদস্যরা।
এর আগে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন্স অ্যান্ড মেনটেইন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে শুরুর দিকে মার্কেটের নিরাপত্তা প্রহরীদের পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে কলাপসিবল গেট ভেঙে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভেতরে ঢোকেন। একদিকে যেমন পানির সংকট ছিল, অন্যদিকে উৎসুক জনতার কারণে আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয়।
তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মী ধোঁয়ার কারণে কিছুটা আহত হয়। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুনের সূত্রপাত প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে হতে পারে এমন ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্ত কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখে আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে জানানো সম্ভব হবে।
ঘটনাস্থলে দায়িত্বে থাকা ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের প্রতিটি জায়গায় সার্চ করা হয়। যেহেতু এখানে টিন, কাঠ এবং বিভিন্ন ধাহ্য পদার্থ ছিল এবং একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে, যা ধারণা করা হচ্ছে এসি থেকে হতে পারে। কোথাও যেন কোনও ধরনের আগুনের ফুলকি পড়ে না থাকে সেজন্য অধিকতর সার্চ করার পর যখন ফায়ার সার্ভিস অবগত হয় আগুনের কোনও কিছু আর অবশিষ্ট নেই, তখনই নির্বাপণের ঘোষণা দেওয়া হয়।