ছবি সংগৃহীত
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৭২ ঘণ্টা অবরোধের শেষ দিনেও রাজধানীতে গণপরিবহন কম দেখা গেছে। অবরোধের দ্বিতীয় দিনের তুলনায় বেশি গণপরিবহন দেখা গেলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অনেক কম। বাসের জন্য অনেক সময় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অফিসগামী যাত্রীদের। নির্দিষ্ট গন্তব্যে বাস পেতেও সমস্যায় পড়তে হয়েছে অনেককে। ফলে, ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে। এ ছাড়া দূরপাল্লার গাড়িগুলো আজও ঢাকা ছাড়ছে না।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব এলাকায় গণপরিবহণ চললেও স্বাভাবিক দিনের তুলনায় অনেক কম। আগুন আতঙ্ক থেকেই গাড়ি কম চলছে বলে কয়েকজন বাসের চালক জানান।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে মুগদা যাবেন আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বাস কম। একটি বাস এলে তাতে ওঠা যাচ্ছে না। কারণ, প্রচুর মানুষ। বাস কম হওয়ায় যাত্রীদের জায়গা হচ্ছে না।’ তবে, ভিন্ন কথা বলেছেন হাফিজুর রহমান নামের আরেক যাত্রী। তিনি খাজা বাবা নামের একটি বাসে চড়ে মিরপুরের কাজীপাড়া থেকে কারওয়ান বাজারে এসেছেন। বললেন, ‘বাসের মধ্যে অর্ধেক সিট ফাঁকা। আর বাস অনেক সময় পর পর আসছে।’
এদিকে দূর পাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। গত দুই দিনের মতো আজও গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো গন্তব্যের উদ্দেশে বাস ছাড়ছে না। টার্মিনালে দূরপাল্লার যাত্রীদের উপস্থিতিও তেমন একটা নেই। গতকাল বুধবারের মতো আজও গাবতলী টার্মিনালের বেশির ভাগ বাস কোম্পানির টিকিট বিক্রির কাউন্টার বন্ধ দেখা গেল।
গাবতলী টার্মিনালে বিভিন্ন বড় বড় বাস কোম্পানির টিকিট বিক্রির একাধিক কাউন্টার রয়েছে। তবে এসব কাউন্টারের সব কটি খোলা না রেখে একটি-দুটি করে খোলা রাখা হয়েছে। টার্মিনালে কয়েকজন যে যাত্রী আসছেন, তারা ওই সব কাউন্টারে গিয়ে বাস ছাড়ার বিষয় নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন।
মহাখালী বাস টার্মিনালের এনা পরিবহনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী সবুজ বলেন, ‘প্রতিদিন অন্তত ১৫টির মতো গাড়ি ময়মনসিংহে গেলেও অবরোধের তিন দিনে চার থেকে পাঁচটি গাড়ি ছেড়েছে।’
গত মঙ্গলবার থেকে টানা তিন দিনের সড়ক, রেল, নৌপথসহ সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। একই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটির জোটসঙ্গী ও সমমনা দলগুলো। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীও আলাদাভাবে একই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।