ছবি সংগৃহীত
নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘নির্বাচনে কত পার্সেন্ট (শতাংশ) ভোট পড়লো সেটা বিষয় নয়। নির্বাচন নির্বাচনের গতিতে হবে। সংবিধানে লেখা নেই কত ভোট কাস্ট হতে হবে। তবে সময়মতো নির্বাচন না হলে সংবিধানে একটা শূন্যতা তৈরি হবে। তাই সময়মতো নির্বাচন হবে। কেউ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবে না। আমরা বলে দিয়েছি, যত বড় পার্সেন্ট কাস্ট হবে তাই দিয়ে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।’
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন জেলা প্রশাসক, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এ কথা বলেন। মতবিনিময় সভাটি কুমিল্লা সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইসি আনিছুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনে কে আসলো কে আসলো না, এটা আমাদের বিষয় নয়। কাউকে নির্বাচনে আনা আমাদের দায়িত্ব নয়। আমরা চিঠি দিয়েছি। আমাদের নিবন্ধিত ৪২টি দল আছে। তারা (বিএনপি) নির্বাচনে আসতে চাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনছি এমন কথা। যদি তারা পর্দার অন্তরালে আলাপ-আলোচনা বা জোটবদ্ধ হয় তাহলে বিষয়টি (তফসিল) পেছানোর সুযোগ আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এক নির্বাচন কমিশনারও বলেছেন বড় রাজনৈতিক দলটি (বিএনপি) নির্বাচনে এলে তফসিল পেছানো নিয়ে সংবিধানে সুযোগ আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন বাংলাদেশে সবসময়ই উৎসব মুখর। তবে সেটি বেশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে। আমরা আগে থেকে আহ্বান করে যাচ্ছি। নির্বাচনে সবাই আসুক। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না।’
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলির প্রশ্নে জামালপুরের ডিসির ভাইরাল হওয়া বক্তব্য উল্লেখ করে ইসি আনিছুর বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনে রদবদলের প্রয়োজন পড়লে করা হবে। তখন প্রশাসন আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। আমরা তবুও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ওই ডিসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রশাসন এখন আমাদের। সুতরাং প্রয়োজন পড়লে আমরা প্রশাসনেও রদবদল আনতে পারি।’
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মু. মুশফিকুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ শাখাওয়াত হোসেন ও চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এ সময় জেলার ও জেলার বাইরের নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।