আগুনে নিহত, নাদিয়া আক্তার পপি ও শিশু ইয়াসিন (ফাইল ছবি)
নেত্রকোনা সদর থেকে রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেন নাদিয়া আক্তার, তার দুই সন্তান, ভাই ও দেবর মিনহাজুর রহমানের শ্বশুর বাড়ির পাঁচজন। সব মিলিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন নয় সদস্য। রাত সোয়া ৪টার দিকে নয় জনের মধ্যে পাঁচজন বিমানবন্দর রেলস্টেশনে নেমে যান। বাকি চারজনের নামার কথা ছিল কমলাপুর রেলস্টেশনে।
তবে রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে মারা যান নাদিয়া আক্তার পপি (৩৫) ও তার শিশু সন্তান ইয়াসিন (৩)। আর বাকি মামা-ভাগনে হাবিব (১৮) ও ফাহিম (৯) আগুন লাগার সময় ট্রেন থেকে বেরিয়ে যান।
মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নিহত পপির দেবর দেলোয়ার হোসেন টিটু।
তিনি জানান, নেত্রকোনা থেকে রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে ট্রেনে উঠেন পরিবারের ৯ সদস্য। নয়জনের মধ্যে পাঁচজন বিমানবন্দর রেলস্টেশনে নেমে যান। বাকি চারজনের নামার কথা ছিল কমলাপুর রেলস্টেশনে। আগুনে ভাবি নাদিয়া আক্তার পপি ও তার শিশু সন্তান ইয়াসিন মারা যান। আর বাকি মামা-ভাগনে হাবিব ও ফাহিম আগুন লাগার সময় ট্রেন থেকে বেরিয়ে যান। তারা বেরোনোর সময় আঘাত পেয়ে আহত হয়েছে।
টিটু আরও বলেন, সবাই যদি বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে যেতো তাহলে ভাবি ও বাচ্চাটা বেঁচে যেতো।
এদিকে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে ট্রেনটিতে আগুন দেয় দুর্বত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হয়ে চারজন মারা যান। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে পাঠানো হয়।
কমলাপুর রেলওয়ে থানার পরিদর্শক মো. ফেরদৌস বলেন, তেজগাঁও স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ঘটনাস্থলেই চারজন মারা গেছেন। তাদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহতদের মধ্যে নাদিয়া ও তার শিশুসন্তান ছাড়া অন্য দুজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। নাদিয়ার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায়। তার বাবার নাম ফজলুর রহমান। তেজগাঁও তেজকুনিপাড়ায় স্বামী মিজানুর রহমানের সঙ্গে থাকতেন তিনি।
বাংলাবার্তা/এসএ