নগর ভবনের কনফারেন্স রুমে কথা বলছেন মেয়র আতিক (ছবি: বাংলাবার্তা)
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, 'আমি কিছুদিন আগে সূতিভোলা খাল পরিদর্শনে গিয়ে নৌকায় চড়ে অল্পদূর যেতেই দেখি খালের ভেতর বাঁশ দিয়ে বেড়া তৈরি করে অবৈধভাবে মাছ চাষ করছে। আমি নৌকা নিয়ে বেশিদূর যেতে পারিনি। এভাবে খাল দখল করে যা খুশি তাই করা যাবে না। জনগণের খাল ব্যবহার করে মাছ চাষ করা যাবে না। খালে অবৈধভাবে এসব মাছ চাষ বন্ধে দ্রুতই অভিযান পরিচালনা করা হবে।'
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএনসিসির নগর ভবনের কনফারেন্স রুমে ডিএনসিসির আওতাধীন খালসমূহের সীমানা নির্ধারণ, পরিবেশ উন্নয়ন এবং সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, 'ঢাকা শহরের খাল দখল ও দূষণ রোধ করতে সকল অংশীজনকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। আমরা চাই কমিউনিটিকে যুক্ত করতে। খালের পার্শ্ববর্তী অনেক জলাশয় আছে যেখানে খাস জমি রয়েছে। এসব খাস জমিগুলো খালের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে। খালের পাড় বাধাই করা হবে। খালের পাড়ে ওয়াকওয়ে থাকবে, সাইকেল লেন থাকবে এবং গাছ লাগানো হবে।'
মেয়র আরও বলেন, 'শহরকে বাঁচাতে হলে খাল ও জলাশয়গুলোকে রক্ষা করতে হবে। সরকারি সব সংস্থাকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। একটি প্রকল্প গ্রহণের আগে সব সংস্থার সাথে আলাপ আলোচনা করতে হবে। সেনাবাহিনী ডিএনসিসির খালগুলোর সীমানা নির্ধারণের কাজ করছে। মহানগর জরিপে খালের আকার অনেক ছোট হয়ে গেছে। পূর্বের ন্যায় সিএস দাগ অনুযায়ী খালের সীমানা নির্ধারণ করতে হবে।'
এসময় ডিএনসিসির মেয়র খালের সীমানা নির্ধারণ ও খালের পরিবেশ রক্ষায় করণীয় ঠিক করতে সব সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান কামরুন নাহার আহমেদ বলেন, 'ঢাকার প্রকৃত খাল উদ্ধার করতে হলে সিএস দাগ অনুযায়ী খাল উদ্ধার করতে হবে। নদী ও খালের সাথে সম্পৃক্ত যে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করার আগে অবশ্যই জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন থেকে অনাপত্তিপত্র নিতে হবে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। খাল ও নদী দূষণ রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।'
বাংলাবার্তা/এসএ/এস