ঢাকা-১৭ আসনের নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। ছবি : সংগৃহীত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসনের নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, যারা ভোট বর্জন করছে তাদের জন্য বলছি, তারা সারাদিন দেখবে মানুষ কতটা উৎফুল্লভাবে ভোট প্রদান করছে। একশ’র বেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক রয়েছেন; নির্বাচন ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটি কতটা আগ্রহী সেটি তারা পরে হলেও বুঝতে পারবেন।”
রোববার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত। এরপর তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ‘আমরা ভোটের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে। সবাইকে আহবান জানিয়েছি কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেওয়াটা নিশ্চয়ই অনেক আনন্দের। যারা ভোট বর্জনের কথা বলছেন, তারা সবাই আজ চেয়ে চেয়ে দেখবেন কতটা আগ্রহ নিয়ে মানুষ ভোট দিচ্ছেন। এই যে গণমাধ্যমে সরব উপস্থিতি, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকরা এসেছেন। আন্তর্জাতিক বিশ্বের মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রেও এ নির্বাচন।’
আরাফাত বলেন, ‘অনেক কেন্দ্রে গিয়ে দেখবেন লম্বা লাইন। আপনি কালাচাঁদপুরে যান, মুক্তিযোদ্ধা স্কুল অ্যান্ড কলেজে যান, সেখানেও লম্বা লাইন। অনেকগুলো কেন্দ্রের ছবি-ভিডিও আছে আমার কাছে, যেখানে অনেক ভিড়। এক হাজার কেন্দ্রের মধ্যে দুটিকে হাইলাইটস করে যদি বলেন ভোটার কম, তাহলে তো হবে না।’
গুলশানের এক লাখ ভোটার বাইরে অবস্থান করছেন জানিয়ে আরাফাত বলেন, ‘গত উপ-নির্বাচন করে এবং এ নির্বাচন করে আমার অভিজ্ঞতা হলো—নির্বাচন কমিশনের যে ভোটার তালিকা সেখানে ঢাকা-১৭ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজারের বেশি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ঢাকা-১৭ আসনের এক লাখ ভোটার এখন এখানে নেই। তারা ইন্টারনাল মাইগ্রেশন হয়। বিভিন্ন জায়গায় চলে গেছেন। সেজন্য এখানে আসলে হিসাবে তিন লাখ ২৫ হাজার ভোটার থাকলেও আছেন হয়তো ২ লাখের মতো।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ১৫, ১৮, ১৯, ২০ এবং ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে এ আসন গঠিত। আসনটিতে মোট কেন্দ্র ১২৪টি। মোট ভোটার ৩ লাখ ২৩ হাজার ৯৩৫ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৮৩ এবং নারী ১ লাখ ৫৩ হাজার ১৪৭ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন পাঁচজন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাতজন প্রার্থী। তারা হলেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, বেলুন প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরাফাত আশওয়াদ ইসলাম, সোনালী আঁশ প্রতীকে তৃণমূল বিএনপির কাজী শফিউল বাশার, বিএনএফের প্রার্থী টেলিভিশন প্রতীকে এস এম আবুল কালাম আজাদ, কুলা প্রতীকে বিকল্পধারার প্রার্থী আইনুল হক, আম প্রতীকে এনপিপির প্রার্থী গোলাম ফারুক মজনু এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির শাহ আলম একতারা প্রতীকে লড়ছেন। তবে ভোটকেন্দ্রে নৌকা ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট চোখে পড়েনি।
বাংলাবার্তা/এমপি