আগুন পোহানো। বাংলা বার্তা
ঢাকায় ঘন কুয়াশা ও বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় জেঁকে বসেছে শীত। এবার মাঘ মাস না আসতেই পৌষ মাসের শেষ দিকে হাড়কাঁপানো শীতে ঢাকার জনজীবন বিপর্যস্ত। প্রচণ্ড শীতে স্বাভাবিক জনজীবন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষেরা।
রাজধানীর বাইরে যে দৃশ্য সবসময় চোখে পড়ে সেটি হল শীতে সবাই গোল হয়ে আগুন পোহানো। এবার ঢাকাতেও এ দৃশ্য চোখে পড়ার মতো। শীতের প্রভাব বাড়ায় রাজধানীবাসী অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। সূর্যের লুকোচুরি শীত নিবারণে পর্যাপ্ত গরম কাপড় না থাকায় ছিন্নমূল মানুষকে শীত নিবারনের জন্য আগুনের তাপ নিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৬টার ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকার আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকবে। আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে ও ঘন্টায় ৬ থেকে ১২ কি.মি বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা রিয়াজ উদ্দিন বাংলা বার্তাকে বলেন, গত যে কোনো দিনের চেয়ে আজ ঢাকায় তীব্র শীত, সকাল থেকে সূর্যের আলো চেখে পড়েনি। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা ও প্রবাহিত হচ্ছে তীব্র বাতাস। অন্যান্য দিনের চেয়ে রাস্তায় মানুষ কম। অতি প্রয়োজন ছাড়া আমার পরিবারের কেউ ঘরের বাহিরে বের হয়নি। মোটরসাইকেল চালাতে অনেকটা সমস্যা হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, মৌসুমী লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করে তা উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত প্রসারিত রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা ঢাকাসহ বাহিরের জেলাতেও অস্থায়ীভাবে আকাশ মেঘলা থাকবে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে আর কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
তিনি বলেন, রোববার (১৪ জানুয়ারি) থেকে ঢাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হলে শীতের প্রকোপ কমবে। মেহেরপুরে সকাল ৬টার দিকে তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উল্লেখ্য, ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলাতেও তীব্র শীত বইছে। পঞ্চগড়, কিশোরগঞ্জ, ঈশ্বরদী, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলা সমূহের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে । দেশের আন্যন্য স্থানেও ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বাংলাবার্তা/এআর