ঘন কুয়াশায় নগরীতে যান চলাচল (ছবি: বাংলাবার্তা)
পৌষের শেষ সময়ে এসে সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। শীতের কাঁপুনি থেকে বাদ যায়নি রাজধানী ঢাকাও। সূর্য়ের মুখ দেখা না পাওয়ায় ও শৈত্যপ্রবাহে অনেকটাই বিপর্যস্ত রাজধানীর কর্মজীবী মানুষ। কনকনে শীত ও কুয়াশার কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে শীতের প্রকোট বেশি। হাড়কাঁপানো শীতে এ অঞ্চলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রান্তিক ও নগরীর আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় ছিন্নমুল মানুষকে শীত নিবারনের জন্য আগুন তাপ নিতে।
রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে দিনাজপুরে, ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রাজশাহী বিভাগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বলছে, রোববার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টা অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে আরও বলছে, আগামী কয়েকদিন শীতের বর্তমান অবস্থার পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। এই সপ্তাহজুড়ে কনকনে শীতের প্রকোট আরও বাড়তে পারে। এছাড়া ১৮ বা ১৯ তারিখের দিকে তাপমাত্রা বাড়লেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির কিছু পরে তাপমাত্রা আবারও কমে যাবে বলেও জানা যায়।
বাংলাবার্তা/এসএ