তাজুল ইসলাম। বাংলা বার্তা
ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে এডিস মশার প্রজননস্থল গুলো চিহ্নিত করে লার্ভা ধ্বংস করার উপর গুরুত্বারোপ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ বছরব্যাপী কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বসত বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা যাতে জন্মাতে না পারে সেজন্য ফুলের টব, টায়ার, ফ্রিজের নীচে কিংবা বাসার ভিতর জমা পানি প্রতি তিনদিনে একবার পরিস্কার করার উপর জোর দেন। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, হাসপাতাল ও এর মেডিকেল বর্জ্য এবং বিভিন্ন থানায় জব্দকৃত যানবাহনে যাতে এডিস মশা জন্মাতে না পারে সেজন্য বছরের প্রথম থেকেই সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষকে সচেতন হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ব্যাংক ও আবাসিক এলাকাগুলোকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা নিজেরা সচেতন হলে ডেঙ্গু ও এডিস মশা প্রতিরোধ কার্যকর করা সম্ভব।
তাজুল ইসলাম সভায় এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসের আমদানিকৃত কীটনাশকের গুণগতমান পরীক্ষা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, গতবার মশার কীটনাশক স্প্রে নিয়ে কিছু বিতর্ক তৈরি হওয়ায় এ বছর পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে যাতে ঔষুধ কার্যকর হয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্য ও এডিসসহ নানা ধরনের মশার বিষয়ে শিক্ষা কারিকুলামে যোগ করা যায় কিনা সে বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বিবেচনার জন্য বলেন।
ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক জাতীয় কমিটির ২০২৪ সালের প্রথম সভা আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিমসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাবার্তা/এআর