
জুনাইদ আহমেদ পলক। বাংলা বার্তা
বাংলাদেশ ও ভারত সাইবার নিরাপত্তায় যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা। বৈঠকে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশ-ভারত কিভাবে আরো এগিয়ে যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আগামী ৫ বছরে সরকারের অগ্রাধিকার পরিকল্পনা লক্ষ্য করে চলমান সহযোগিতার পাশাপাশি আগামীতেও নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আলাপ হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, দুই দেশের সাইবার আকাশ মুক্ত করতে শিগগিরই একটি আন্তঃদেশীয় সাইবার ড্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও ডেটা সেন্টার নির্মাণ, ডাক, টেলিকম ও আইসিটির বেসরকারি খাতে ভারতীয় বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ-ভারত স্টার্টআপ সেতুকে ত্বরান্বিত করতে আরো মনোযোগ দেয়া হবে। বিপরীতে ডিজিটাল ভারত বিনির্মাণে বাংলাদেশ দেশটির পাশে থাকবে। আর ভারত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
এসময় জি-২০ এর অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশ একদিকে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ হতে উদ্যোগ নিয়েছে। আর আমরা ডিজিটাল ভারত গড়ার উচ্চাশা হাতে নিয়েছি। উভয় দেশই প্রযুক্তি ব্যবহার করে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে গণমানুষের ক্ষমতায়নে কাজ করছে। এজন্য আমরা কিভাবে বাংলাদেশে ডিজিটাল পাবলিক অবকাঠামো উন্নয়ন, লজিস্টিক খাতের জন্য বিশেষায়িত টেমপ্লেট উন্নয়ন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আলোচনায় বাংলাদেশের আইটি খাতের উন্নয়নে চলমান প্রকল্পগুলো এগিয়ে নেয়া এবং আধুনিক উন্নয়নের জন্য উদ্ভাবন, তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন, উদ্যোক্তাদের ভবিষ্যতমুখী করা বিষয়ে ফলপ্রসু কথা হয়েছে। আমরা দুই দেশই ডিজিটালি সংযুক্ত। এই শক্তিকে আরো এগিয়ে নিতে আমরা এখন ডিজিটাল পেমেন্টে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে যাচ্ছি। সব ধরণের যৌথ অংশীদারিত্বই হবে দুই দেশের জনগণের মানুষের কল্যাণে।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ বলেছেন, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীই বলেছেন, আমরা বন্ধুত্বের সোনালী অধ্যায় পার করছি। ভারতের ১৯৩ ডলার সহায়তায় আমাদের দেশে ১২টি হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এখানে হাজার হাজার তরুণ-তরুণীর স্মার্ট কর্মসংস্থান হবে। আমাদের রফতানি আয় বাড়বে। বিনিয়োগ সম্ভাবনাও তৈরি হবে। এই পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রীর দেয় তিনটি অগ্রাধিকারের জায়গায় আমরা ভারতের সহায়তা পাবো বলে আশা করছি।
সচিবালয়ের টেলিকম মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন উভয়েই।
বাংলাবার্তা/এআর