মিশরের রাষ্ট্রদূতের সাথে জাহাঙ্গীর কবির নানকের সাক্ষাৎ (ছবি: বাংলাবার্তা)
বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মিশর। এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্রুত একটি যৌথ প্রটোকল স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহিম এলদিন আহমেদ ফাহমির সঙ্গে সাক্ষাতে এ বিষয়ে কথা হয়।
বৈঠকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ ও দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব মিনা মাকারি উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, মিশরের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠন করায় তাকে অভিন্দন জানিয়েছেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
গতবছর মিশর ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করা হয়েছে। এ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে বলে রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি জানান, মিশর আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ তাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ। মিশর ও বাংলাদেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক। সে জন্য মিশর বাংলাদেশের পাট-বস্ত্র ও তুলাসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য ছাড়াও সাংস্কৃতিক শিক্ষা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন ঘটাতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন ওবায়দুল কাদের
আলোচনায় মন্ত্রী মিশরের রাষ্ট্রদূতকে জানান, বাংলাদেশও আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে মিশর বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম দেশ। বন্ধুপ্রতীম দুদেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরাদার হবে। বিশ্বে বাংলাদেশ ২য় পাট উৎপাদনকারী দেশ। বাংলাদেশে অতি উন্নতমানের পাট উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশের উদ্যোক্তরা পাট দিয়ে ২৮২ ধরণের বহুমুখী পাটজাত পণ্য উৎপাদন করছে যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মিশর পাট ও বস্ত্রখাত একসঙ্গে এগিয়ে যাবে। দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ ও ব্যবসা-বাণিজ্যে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা দূর করতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সাক্ষাৎকালে বন্ধুপ্রতীম দুদেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছাড়াও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করা হয়।
সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার হবে না এবং দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। স্থানীয় সরকার নির্বাচন সর্বজনীন করার জন্যই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তবে এতে আইনের কোনো ব্যত্যয় হবে কি-না, সেটা আইন বিশেষজ্ঞরা দেখবেন।
বাংলাবার্তা/এসএ