আতিকুল ইসলাম। বাংলা বার্তা
একি ভবনে দীর্ঘদিন বসবাস করার পরেও কেউ কাউকে চেনেন না। নিজেদের মধ্যেও কোন কথা হয় না । প্রতিবেশীর সঙ্গে পরিচিত হতে ও সম্পর্ক দৃঢ় করতে পাড়া উৎসবের কোন বিকল্প নেই । পাড়া উৎসবের মাধ্যমের সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় হবে।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক এলাকার ৩ নং সড়কে পাড়া উৎসবের উদ্বোধনে এসে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
ডিএনসিসির উদ্যোগে এই পাড়া উৎসবে ছিল দেশীয় সব উপকরণ ও সংস্কৃতি যন্ত্রপাতি। যেমন: পিঠার স্টল, বায়োস্কোপ, পুতুল নাচ, ম্যাজিক শো, স্বাস্থ্য সেবা স্টল, পাটের তৈরি পণ্য। এছাড়া আরো ছিল উইশ বোর্ড, শিশুদের ছবি আঁকার ক্যানভাস ও রং তুলি, ক্যারাম বোর্ড, টেবিল টেনিস দাবাসহ নানা ধরনের খেলার সামগ্রী। পাশাপাশি স্ট্রিট ফুড, ট্যালেন্ট শো, স্ট্যান্ড-আপ কমেডি, পথনাটক, খেলাধুলা, ট্রেডিশনাল ও মর্ডান মার্শাল আর্টসের আয়োজন করা হয়েছে। সবার জন্য উন্মুক্ত এই পাড়া উৎসব সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত চলবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, এখন সবাই মোবাইলে ও ইন্টারনেটে ব্যস্ত হয়ে গেছে। সমাজের সাথে সবার সম্পৃক্ততা হতে হবে। আমরা পাশের বাসার মানুষকে চিনি না। প্রতিবেশীর বাসায় কি সমস্যা সেটা আমরা জানি না, খোঁজ নেই না। ছোটবেলায় আমরা পাড়ায় পাড়ায় উৎসব করতাম। প্রতিবেশীদের বাসায় হালুয়া, রুটি বিতরণ করতাম। সমাজের সবার মধ্যে অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল। ছোটরা বড়দের সম্মান করতাম, দেখলে সালাম দিতাম। ঢাকায় এ ধরনের চিত্র দেখা যায় না। তাই সামাজিক বন্ধন সৃষ্টি করার উদ্দেশে এই পাড়া উৎসব আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছি।'
তিনি বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে, সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে এর আগে উত্তরায় ও গুলশানে পাড়া উৎসবের আয়োজন করেছি। এবার বারিধারায় পাড়া উৎসব হচ্ছে। পাড়া উৎসবের মাধ্যমে বলতে চাই আমরা মানুষের পাশে আছি। পাড়া উৎসব থেকে বলতে চাই আমরা প্রতিবেশীর সুখের সময় পাশে না থাকলেও অন্তত বিপদের সময়ে পাশে থাকবো। আমরা এই উৎসব থেকে প্রতিজ্ঞা করতে চাই কেউ রাস্তায় কোন ময়লা ফেলবো না। সবাই মিলে সুন্দর শহর গড়ে তুলবো।'
এসময় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকার বিভিন্ন সোসাইটিকে এ ধরনের উৎসব আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানান মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
আতিকুল ইসলাম বারিধারা সোসাইটির বাসিন্দাদের উদ্দেশে বলেন, এই এলাকার লেকের পানি দূষিত হয়ে গেছে। আমরা এখন মাছের চাষ করতে পারছি না। চাষ হচ্ছে মশার। আমি অভিযান করেছিলাম, কলাগাছ ঢুকিয়ে অবৈধ সংযোগ বন্ধ করেছিলাম। সবাইকে বলছি দয়া করে পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ আমাদের সারফেস ড্রেনে দিবেন না। সারফেস ড্রেন বৃষ্টির পানি ও কিচেন ওয়াটার প্রবাহের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে।
বাংলাবার্তা/এআর