ছবি : বাংলাবার্তা
মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় মহাসমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা। গতকাল শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে এবারের ৫৭তম ইজতেমা। ইজতেমাকে ঘিরে দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা একত্রিত হয়েছেন টঙ্গীর তুরাগ তীরে। ইজতেমার অন্যতম আকর্ষণের বিষয় লক্ষ লক্ষ মানুষের সম্মিলিত আখেরি মোনাজাত। মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় হয় এ মোনাজাতে।
বিশ্ব ইজতেমার আলমি শুরার আখেরি মোনাজাত ৪ ফেব্রুয়ারি, রোববার সকালে। এ উপলক্ষে (৩ ফেব্রুয়ারি) শনিবার রাত ১২টার পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস ও টঙ্গীর স্টেশন রোড থেকে কামারপাড়া পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার ইব্রাহিম শনিবার সকালে ইজতেমা ময়দানে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, ইজতেমার আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে জিএমপির ট্রাফিক বিভাগকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে মুনাজাতে অংশগ্রহণের জন্য মুসল্লিরা আসবেন। এ কারণে তাদের সুবিধার জন্য শনিবার রাত ১২টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস, আব্দুল্লাহপুর থেকে কামারপাড়া রোড হয়ে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী স্টেশন রোড পর্যন্ত সড়ক, আব্দুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়ার বাইপাইল পর্যন্ত এবং মিরের বাজার থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সড়কে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
ঢাকাগামী লোকজন ও যানবাহনগুলোকে ভোগড়া বাইপাস দিয়ে তিনশো ফিট রাস্তা ব্যবহার করে চলাচল করতে বলা হয়েছে। যেসব লোকজন ময়মনসিংহ বা গাজীপুর যাবেন, তারা বাইপাইল থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা হয়ে চলে যাবেন।
আরও পড়ুন : ইজতেমায় ১০ মুসল্লির মৃত্যু
আখেরি মোনাজাত করবেন তাবলীগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বী মাওলানা জুবায়ের (বাংলাদেশ)। দোয়ার আগে নসিহত করবেন মাওলানা ইবরাহিম দেওলা (ভারত)।
এর আগে বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা। শুক্রবার ফজরের পরে বয়ান দেন মাওলানা আহমদ বাটলা (পাকিস্তান)। সকাল ১০টায় তালিম করেন মাওলানা জিয়াউল হক (পাকিস্তান)। জুমার নামাজের পরে বয়ান করেন মাওলানা ওমর খতিব (জর্ডান)। আছরের পরে বয়ান করেন মাওলানা জুবায়ের (বাংলাদেশ)। মাগরিবের পর বয়ান করেন মাওলানা আহমদ লাট (ভারত)। ৩ ফেব্রুয়ারি, শনিবার। ফজরের পর বয়ান করেন মাওলানা আব্দুর রহমান (ভারত)। জোহরের পর বয়ান করেন মাওলানা ইসমাইল (ভারত)। আছরের পর বয়ান করেন মাওলানা জুহাইরুল হাছান (ভারত)। মাগরিবের পর বয়ান করবেন মাওলানা ইবরাহিম দেওলা (ভারত)।
বাংলাবার্তা/জেডএইচ