ওবায়দুল কাদের। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী দেশ মিয়ানমারে যে সংঘাত চলছে এতে দেশে নতুন করে আর রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সুযোগ নেই এবং এই ব্যাপারে কোন উদারতাও দেখানো হবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানী বনানী সেতু ভবনে এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে আমাদের যেন কোনো শঙ্কা বা উদ্বেগের কারণ না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিশেষ করে চীন ও ভারতের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেছি। বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হয়েছে। তারা বলেছেন, সংঘাতে যারা পালিয়ে এসেছে বাংলাদেশে তাদের ফেরত নেবে তারা।
মন্ত্রী বলেন, তবে এখন আর নতুন করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে দেব না। এর আগে উদারতা দেখিয়ে সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছিল। এখন সেই উদারতা দেখানোর সুযোগ নেই। তারা আমাদের জন্য একটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক সাহায্য অনেক কমে গেছে। এ বোঝা আমরা আর কতদিন সইবো?
বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন , আন্দোলনে ব্যর্থ ও নির্বাচনে না আসায় বিএনপি এখন চরম হতাশ। সেই হতাশা কাটাতে দলটির নেতারা এখন সরকার বিরোধীতার নামে বিরোধীতাই করবে এটা তারা সিদ্ধান্ত নিয়েই করেছে। সরকারের ইতিবাচক হলেও নেতিবাচক কিছু বলতে হয় সেরকম উক্তি করছে।
এর আগে সকালে সেতুভবনে প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বুধবার রাজধানীর বনানীতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর Abdoulaye Seck এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
সেতুমন্ত্রী জানান, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। পাচ বছর মেয়াদী এ প্রকল্প চলবে আগামী ২০২৮ সালের ৩০ শে জুন পর্যন্ত।
সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে ব্যক্তিগত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট নন। সড়ক দুর্ঘটনা এবং ক্ষয়ক্ষতি কমানো যাচ্ছে না। সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্পকে অগ্রাধিকার প্রকল্প উল্লেখ করে এখন থেকে নিজেই তত্ত্বাবধান ও মনিটরিং করবেন বলে জানান মন্ত্রী। প্রকল্পের দুর্নীতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কেউ দুর্নীতি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাবার্তা/এআর