অজিত দোভাল ও ড. হাছান মাহমুদ। ছবি : সংগৃহীত
দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি যেন বাধাগ্রস্ত না হয় সে জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখা প্রয়োজন, দিল্লি সফরে এই বিষয় গুরুত্ব পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে এসে প্রথম দিন বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সাথে বৈঠক করেন।
সরদার প্যাটেল ভবনে এ বৈঠকে আলোচনা শেষে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর দাহস্থান ও স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। সৌধ পরিদর্শন বইতেও স্বাক্ষর করেন মন্ত্রী।
রাজঘাটে সাংবাদিকদেরকে বৈঠক নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেও ভারতের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। এই উন্নয়ন অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে আঞ্চলিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শান্তি যেটি বিরাজমান তা রক্ষা করতে হবে। সে লক্ষ্যেই আমরা আলোচনা করেছি।
রোহিঙ্গা ইস্যুও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন এবং মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়েও একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ দিন সন্ধ্যায় দিল্লীর হায়দ্রাবাদ হাউজে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন হাছান মাহমুদ। তিনদিনের সফরের বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিবেকানন্দ ফাউন্ডেশনে বক্তৃতাদান এবং একাধিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা রয়েছে মন্ত্রীর।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকা থেকে দিল্লি গেলে হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও উজবেকিস্তানে নবনিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত স্মিতা পান্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।
বাংলাবার্তা/এআর