ছবি: সংগৃহীত
ক্রমেই কমে আসছে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার তহবিল। তাই তহবিল নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখে আন্তুর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে ‘কারণ ও প্রভাব: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দ্বিমুখী লড়াই’ শীর্ষক ফোরামে এ আহ্বান জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য তহবিলের জোগান ধীরে ধীরে কমে আসছে। সেজন্য বৈশ্বিক অংশীদারত্ব, সমষ্টিগত পদক্ষেপ, ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক তহবিল প্রয়োজন। তাই বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে অভিযোজন ও সহনশীলতা অর্জনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য তহবিল নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কার্বন নিঃসরণে নগণ্যতম (বৈশ্বিক নিঃসরণের ০.৪৮%) দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সর্বোচ্চ হুমকির মুখে থাকা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। একই সাথে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত। এক্ষেত্রে ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান’ একটি শীর্ষ পরিকল্পনা।
ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এক্ষেত্রে বহুমাত্রিক উদ্যোগের কথা জানানো হয়। এসময়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, দেশের উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা বৃদ্ধি, উত্তরাঞ্চলে খরা, দক্ষিণাঞ্চলে ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সারাদেশে বন্যার প্রকোপ মোকাবিলায় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড, বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাসহ বাংলাদেশের নীতি ও কর্মসূচি তুলে ধরা হয়।
ফোরামে নরওয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী অ্যান বিথ টিভিনেরিম, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশমন্ত্রী মরিয়ম বিনতে মোহাম্মদ সাইদ আলমেইরি অংশ প্রমুখ প্যানেলিস্টরা বিশ্বব্যাপী সমন্বিত প্রচেষ্টার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।
বাংলাবার্তা/আরইউ