প্রধানমন্ত্রী তুলে দিলেন একুশে পদক-২০২৪। ছবি : বাংলাবার্তা
২ প্রতিষ্ঠান ও ১৯ বিশিষ্ট জনের হাতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক-২০২৪ তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় পর রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘একুশে পদক’ তুলে সরকার প্রধান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
অনুষ্ঠানে পদকপ্রাপ্ত সুধীজনে নাম ঘোষণা ও পরিচিতি পাঠ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসনা জাহান খানম।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সরকার নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য একুশে পদকের জন্য ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিকের নাম ঘোষণা করে। ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে ২ জন, শিল্পকলায় ১২ জন, সমাজসেবায় ২ জন, ভাষা ও সাহিত্যে ৪ জন এবং শিক্ষায় ১ জন এ পুরস্কার পেয়েছেন।
একুশে পদক পেলেন যারা:
ভাষা আন্দোলন বিভাগ: মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর)।
শিল্পকলা বিভাগ:
সংগীত ক্যাটাগরিতে- জালাল উদ্দীন খা (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ (মরণোত্তর), বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর), শুভ্রদেব।
নৃত্যকলা ক্যাটাগরিতে- শিবলী মোহাম্মদ, অভিনয় ক্যাটাগরিতে ডলি জহুর ও এম এ আলমগীর।
আবৃত্তি ক্যাটাগরিতে- খান মো. মুস্তাফা ওয়ালিদ (শিমুল মুস্তাফা) ও রূপা চক্রবর্তী।
চিত্রকলা ক্যাটাগরিতে- শাহজাহান আহমেদ বিকাশ।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিং ক্যাটাগরিতে- কাওসার চৌধুরী।
সমাজসেবা বিভাগ: মো. জিয়াউল হক ও রফিক আহামদ।
ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ: মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফর রহমান রিটন, মিনার মনসুর ও রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ (মরণোত্তর)।
শিক্ষা বিভাগ: প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু।
নির্বাচিত প্রত্যেককে ৪ লাখ টাকার চেকসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ‘একুশে পদক’ সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিয়ে থাকে।
বাংলাবার্তা/আরইউ