প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের তরুণ সমাজ অত্যন্ত মেধাবী। তাদেরকে পথ দেখালে তারা বীরদর্পে সামনে এগিয়ে যেতে পারবে। তাই সমুদ্রসীমার সম্পদ আহরণ করতে হবে এবং দেশের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪ (অ্যাক্ট নং ২৬, ১৯৭৪)’ প্রণয়নের ৫০ বছর পূর্তিতে ‘সুবর্ণজয়ন্তী’ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্রসীমা রয়েছে। সেখানে আমাদের কোনো অধিকার ছিল না। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যা করে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা ২১টা বছর সমুদ্রসীমার অধিকার নিয়ে কোনো কথা বলেনি।
২১ বছর পর আমরা সরকারে এসে সমুদ্রসীমার সমস্যা সমাধানে কাজ শুরু করি। ২০১২ ও ২০১৪ সালে বাংলাদেশ-মিয়ানমার এবং ভারতের সাথে সমুদ্রসীমার নিষ্পত্তি করি। ফলে আজ বিশাল সমুদ্রসীমার অধিকার রয়েছে এবং সম্ভাবনাময় একটা বিশাল অর্থনৈতিক এলাকা আমরা পেয়েছি।
তিনি বলেন, খনিজ সম্পদসহ সব উত্তোলন করতে হবে এবং কাজে লাগাতে হবে। সেজন্য যথাযথ বিনিয়োগও প্রয়োজন। আমরা আলাপ আলোচনা করছি এবং আন্তর্জাতিক টেন্ডারও দিয়েছি। বিশাল সমুদ্রসীমার যথাযথ ব্যবহার করে দেশের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে।
যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না। তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমাদের সামর্থ থাকতে হবে। এবং সে অনুযায়ী আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে তৈরি করতে কাজ করছি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাবার্তা/আরইউ