ছবি : সংগৃহীত
দেশে বইছে তীব্র তাপদাহ, এমন পরিস্থিতিতে আরও ২ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এ নিয়ে ৭ম বার হিট অ্যালার্ট দিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (২ মে) আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপদাহ আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।
এর আগে গত ৩, ১৯, ২২, ২৫ ও ২৮ এপ্রিল তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল। এরপর ৩০ এপ্রিল দুদিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছিল সংস্থাটি।
গত ৩০ এপ্রিলে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় যশোরে, যা গত পাঁচ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। এদিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১৯৯৫ সালে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল আগের নয় বছরের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আর ২০১৪ সালের মে মাসে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এপ্রিলে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তার আগের ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকায় ১৯৬৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। চলতি বছর টানা ৩৩ দিন ধরে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা ৭৬ বছরের মধ্যে রেকর্ড।
চলতি মৌসুমে গত ৩১ মার্চ থেকে টানা ৩৩ দিন ধরে চলছে তাপপ্রবাহ। তবে আগামী সপ্তাহে সারা দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়ার আভাস রয়েছে।
বাংলাবার্তা/এআর