ছবি : সংগৃহীত
ঘূর্ণিঝড় রেমাল গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঢাকাসহ সারাদেশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) ভোর থেকে রাজধানীতে বৃষ্টি শুরু হলে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে পড়েছে ঢাকাবাসী।
চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবীরা। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কাজে বের হয়েছেন অনেকে। যদিও গণপরিবহনের খুব একটা দেখা মেলেনি। ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচল বেশি দেখা গেছে। অনেককে রেইনকোট পরে ও ছাতা মাথায় হেঁটে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
ছাতা মাথায় পথচারীদের বেশিরভাগই পোশাকশ্রমিক। তারা জানালেন, শিফট ডিউটি। সময়মতো না পৌঁছালে বিপদে পড়বেন। বেতন কাটা পড়বে। তাই এমন বৈরী আবহাওয়াতেও বের হয়েছেন তারা।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলাসহ উপকূলের বিভিন্ন জেলায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার।
রোববার বিকাল ও সন্ধ্যা থেকে বাগেরহাট, ভোলা, পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এতে অনেকে হয়ে পড়েছেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
উল্লেখ্য,দেশের উপকূল অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। আর এই রেমালের তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর খরব পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছে ২ জন। এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলের গ্রাম প্লাবিত, সেই সাথে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন প্রায় ৪০ লাখ গ্রাহক। ৭ থেকে ৮ ফুট বেশি উচ্চতার জোয়ারের চাপে সাতক্ষীরা, বরগুনাসহ কয়েক জেলায় বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
বাংলাবার্তা/এআর