ছবি : সংগৃহীত
আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে মানুষের ঈদযাত্রা সুশৃংখল ও ঝামেলাপূর্ণ করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে ২২টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ট্রাফিকের ২২টি নির্দেশনা হলো:
১. ঢাকা মহানগরে দূরপাল্লা ও আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের বাইরে কোনো পরিবহনই সড়কে থেমে যাত্রী ওঠাবে না। যাত্রীরা টার্মিনালের ভেতরে থাকা অবস্থায় বাসের আসন নিতে পারেন। সংশ্লিষ্ট বাসের প্রতিনিধিদের এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
২. ঢাকা মহানগরে দূরপাল্লা ও আন্তঃজেলার বাসগুলো টার্মিনাল সংলগ্ন প্রধান সড়কের অংশ দখল করে দাঁড়াবে না।
৩. ঢাকা মহানগর থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার যানবাহনগুলোকে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন থেকে বিরত থাকতে হবে।
8. আন্তঃজেলা পরিবহনের যাত্রী কিংবা গমনপ্রত্যাশীদের প্রধান সড়কে এসে অপেক্ষা না করে বা দাঁড়িয়ে না থেকে টার্মিনালের ভেতরে অবস্থান করার জন্য আহ্বান জানানো হলো।
৫. ঢাকা মহানগর থেকে দূরপাল্লার ফিটনেসবিহীন ও রুট পারমিটবিহীন বাস বা অননুমোদিত রুটের কোনো বাস চলাচল করবে না। বাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই বিষয়টি কঠোরভাবে মেনে চলবেন এবং কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবেন।
৬. বাসের ভেতর যাত্রীদের অপরিচিত কারো কাছ থেকে কিছু না খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।
৭. সংশ্লিষ্ট যাত্রীরা অবশ্যই যানবাহনে টিকিট বহন করবেন।
৮. আন্তঃজেলা ট্রেনের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন, যেমন বিমানবন্দর, ক্যান্টনমেন্ট, বনানী, তেজগাঁও, কমলাপুর ইত্যাদি স্টেশনে এবং স্টেশন থেকে যাত্রীরা যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন, সে বিষয়ে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ সচেষ্ট থাকবে।
৯. ঈদ উপলক্ষে লঞ্চ টার্মিনালকেন্দ্রিক যানজট যেন সৃষ্টি না হয়, সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক বিভাগ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
১০. যাত্রীরা মালামাল নিজ হেফাজতে সাবধানে রাখবেন।
১১. কোনো যানবাহনই ছাদের ওপর যাত্রী বহন করবে না।
১২. যাত্রী তোলার ক্ষেত্রে বাসের চালকরা এমন কোন অসম প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন না যেন সড়কের শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটে এবং জীবনহানির শঙ্কা থাকে।
১৩. টার্মিনালভিত্তিক কাউন্টারগুলোতে ভাড়ার তালিকা প্রদর্শন করতে হবে।
১৪. মোটরসাইকেল চালক এবং আরোহীরা যেন সর্বদা হেলমেট পরিধান করেন এবং গতিসীমা মেনে চলাচল করেন, বিষয়টি ট্রাফিক পুলিশ নিশ্চিত করবে।
১৫. অনেক সময় টার্মিনাল বা আশেপাশের ফাঁকা জায়গায় খালি ট্রাক বা পিকআপ যত্রতত্র যাত্রী তুলে দূরপাল্লার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার প্রয়াস চালায়। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ এ বিষয়ে অতীতেও সোচ্চার ছিল এবং সবসময় থাকবে।
১৬. ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত লাভের আশায় রুট পারমিটবিহীন বা অনুমোদনবিহীন আন্তঃজেলা গণপরিবহনগুলো যেন ঢাকা মহানগরের অভ্যন্তরে যত্রতত্র না চলে, বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে মালিক বা শ্রমিক প্রতিনিধির সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা অব্যাহত আছে।
১৭. পবিত্র ঈদুল আজহায় ঢাকা মহানগর থেকে বাইরে এবং বাইরে থেকে ঢাকা মহানগরে জনসাধারণের আসা-যাওয়া অব্যাহত থাকে। এজন্য মহানগরের প্রবেশ-প্রস্থান পয়েন্টে যেন কোনো যানজট তৈরি না হয়, সে লক্ষ্যে প্রতিটি পয়েন্টে হাইওয়ে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট জেলা ও মহানগর পুলিশের সঙ্গে ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশের শক্তিশালী সমন্বয় থাকবে।
১৮ পশুবাহী গাড়ি অবশ্যই সিটি করপোরেশনের অনুমোদিত হাটের ভেতর লোড-আনলোড করতে হবে। কোনোক্রমেই হাটের বাইরে অথবা রাস্তায় লোড-আনলোড করা যাবে না।
১৯. গরুর হাটকেন্দ্রিক সুষ্ঠু ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন, হাট ইজারাদার, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হবে।
২০. কোরবানির পশুবাহী যানবাহনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, যেন কোনো হয়রানি না হয়।
২১. বাস টার্মিনাল ও গরুর হাটকেন্দ্রিক সার্ভিল্যান্স টিম গঠন থাকবে।
২২. ঈদুল আজহার সাত দিন আগে থেকে গরুর হাটকেন্দ্রিক সার্বক্ষণিক ফোর্স মোতায়েন করা হবে এবং প্রয়োজনে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হবে।
বাংলাবার্তা/এআর