ছবি : সংগৃহীত
অর্থ আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণার অপরাধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও ডা. সাবরিনা শারমিন হুসেনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১০ জুলাই) দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সকেজা) ঢাকা-০১ এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ১১।
আসামি ৭ জন হলো: (১) ডা. সাবরিনা শারমিন হুসেন, (২) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, (৩) আরিফুল চৌধুরী (৪) আ.স.ম সাঈদ চৌধুরী (৫) হুমায়ুন কবির ওরফে হিমু (৬) তানজিনা পাটোয়ারী (৭) জেবুন্নেসা রিমা।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত অবস্থায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া জেকেজি হেলথ কেয়ার নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পরিচয় ব্যবহার করে অসাধু উপায়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অন্যান্যদের যোগসাজশে অভিজ্ঞতাহীন, নিবন্ধনবিহীন, ট্রেডলাইসেন্সবিহীন তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীর ওভাল গ্রুপের নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারকে কোভিড-১৯ এর নমুনা সংগ্রহের জন্য অনুমতি দিতে সহযোগিতা করেন।
দুদক সূত্রে আরও জানা গেছে, বিনামূল্যে বুথ থেকে করোনার স্যাম্পল কালেকশনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিয়ে বুথ থেকে স্যাম্পল কালেকশন না করে সাবরিনা শারমিন হুসেন ও তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীর নির্দেশে তার অফিসের কর্মী দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টেস্ট ফি হিসেবে প্রতিটি টেস্টের জন্য ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা গ্রহণ করেছেন এবং তা পরীক্ষা না করে ভুয়া ও জাল রিপোর্ট দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
করোনার লকডাউন চলাকালীন বিগত ২০২০ সালের ০১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন এই ৩ মাসে ওভাল গ্রুপ এবং এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ভেলবিল সিকিউরিটি সার্ভিসেস প্রাইভেট লিঃ এর ব্যাংক একাউন্টে ১ কোটি ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৭ টাকা জমা হয়েছে। যা করোনা টেস্টের টাকা বলে ধারণা করা হয়।
এছাড়াও তিনি জালিয়াতি করে নিজের জন্মতারিখ পরিবর্তন করে দুইটি জাতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে ভিন্ন ২টি টিআইএন নম্বর খুলেছেন এবং জন্মতারিখ ১৯৭৮ কে ১৯৮৩ বানিয়ে তার কর্মস্থলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে চাকরির মেয়াদ ৫ বছর পর্যন্ত বাড়িয়ে নেন।
বাংলাবার্তা/এআর