ছবি : সংগৃহীত
চাকরি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) ৩ কর্মকর্তাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে গত ১২ বছরে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পরীক্ষাসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ রয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে এ সংক্রান্ত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাঁড়াশি অভিযানে নেমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছেন পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম।
এছাড়া রয়েছে, একটি বাহিনীর সাবেক সদস্য নোমান সিদ্দিকী, ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের রাজনীতি করা ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, একটি বাহিনীর কর্মকর্তা প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসের মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন এবং বেকার যুবক লিটন সরকার।
সিআইডি সদর দপ্তর সূত্র জানায়, প্রশ্নফাঁস চক্রে পিএসসির সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়ের নামও এসেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ, পরীক্ষার পূর্বে প্রশ্নপত্র প্রকাশ এবং বিতরণ করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী হিসেবে অপরাধ সংঘটনে জড়িত থাকার অভিযোগে কর্ম কমিশনের ৫ (পাঁচ) জনসহ অন্যান্যকে আসামি করে পল্টন থানার মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জন কর্মচারী গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে জেলে আছেন।
তাছাড়া তাদের নিজ নামে ও তাদের পরিবারের সদস্যের নামে অসাধু উপায়ে অর্জিত ও তাদের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির দখলে রয়েছেন বা মালিকানা অর্জন করেছেন এমন খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
এভাবে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মালিকানা অর্জন দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর তফশিলভুক্ত অপরাধ হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তদন্তপূর্বক উপযুক্ত আদালতে বিচারার্থ মামলা দায়ের করার লক্ষ্যে সাক্ষ্য-প্রমাণাদি সংগ্রহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাই এসব অভিযোগ তদন্ত করে কমিশনকে অবহিত করতে অনুরোধ করেছে সংস্থাটি।
বাংলাবার্তা/এআর