ছবি : সংগৃহীত
ব্যাংক পরিচালনায় তারেক রিয়াজকে অদক্ষ-অযোগ্য উল্লেখ করে এনআরবি ব্যাংকে নিয়োগ না দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট আবেদন করেছে খোদ ওই ব্যাংকের একজন উদ্যোক্তা শেয়ার হোল্ডার।
লিখিত আবেদনে বলা হয়েছে, তারেক রিয়াজ এনআরবি ব্যাংকে যোগদান করলে ব্যাংক আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে।
ব্যাংকের উদ্যোক্তা শেয়ার হোল্ডার মো. আমিনুর রশিদ খান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলামের নিকট এ লিখিত আবেদন করেন।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, তারেক রিয়াজ পদ্মা ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদানের সময় ওই ব্যাংকের নগদ তারল্যের পরিমাণ ছিল এক হাজার দুইশত কোটি টাকা। যেদিন তারেক রিয়াজ পদ্মা ব্যাংকে পদত্যাগ পত্র জমা দেন সেদিন পদ্মা ব্যাংকে অর্থের পরিমাণ ছিল মাইনাস (-) ৪০০ কোটি টাকা।
তারেক রিয়াজের ব্যাংক ব্যবস্থাপনার আরও তথ্য দিয়ে উল্লেখ করা হয়, তারেক রিয়াজ পদ্মা ব্যাংকে যোগদানের সময় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাসিক বেতনে সর্বমোট খরচ ছিল দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং তিনি যোগদারেন পর হতে সেই বেতনের খরচের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬ কোটি টাকা।
এই চিঠির অনুলিপি তিনি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় , অর্থমন্ত্রী, অর্থসচিব ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে অবহিত করেছেন।
উল্লেখ্য, তারেক রিয়াজ খান ২০২২ সালের মার্চে পদ্মা ব্যাংকের এমডি হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ডিএমডি ছিলেন। পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একটি পক্ষের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় এর আগে গতবছরের সেপ্টেম্বরে তিনি পদত্যাগ করেন। শিগগিরই তিনি এনআরবি ব্যাংকের এমডি হিসেবে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে লেখা এনআরবি ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার আমিনুর রশিদ খানের চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, তারেক রিয়াজ এনআরবি ব্যাংকে যোগদানের খবর শুনে ইতোমধ্যে ব্যাংকের সব দক্ষ ও সৎ এবং মেধাবী কর্মকর্তা গণহারে পদত্যাগ করে অন্য ব্যাংকে চলে যাচ্ছে।
বাংলাবার্তা/এআর