ছবি : সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্প উপদেষ্টা বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান, সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী মো: শাহাব উদ্দিন ও সাবেক এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কমিশন বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামীকাল থেকে অনুসন্ধান শুরু হবে বলে জানা গেছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, এই ৩ জনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া শাওনের বিরুদ্ধে বেআইনি ক্যাসিনো কাণ্ডের অভিযোগও রয়েছে।
সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন ১০ম জাতীয় সংসদে হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মৌলভীবাজার-১ আসন থেকে সপ্তম, নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হন।
ভোলা-৩ আসনের সাবেক এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলায় বিভিন্ন প্রকল্পে ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা টিআর, ৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা কাবিখা ও কাবিটা, ২৬০ মেট্রিক টন গম এবং ২৩৪ মেট্রিক টন চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়াও বিশ্ব ব্যাংকের এক হাজার ৫০২ কোটি টাকার ‘সুফল প্রকল্প’ থেকে ১০ শতাংশ কমিশন নিয়ে ঠিকাদারদের কাজ প্রদান করেছেন এবং ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে বন কর্মকর্তাদের বদলি ও পোস্টিং করিয়েছেন এমন অভিযোগ সাবেক পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন ও তার ছেলের বিরুদ্ধে।
গত ১৫ বছরে আর্থিক খাতে দুর্নীতি, লুটপাট ও টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে। ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে তার প্রতিষ্ঠান। পণ্য রপ্তানি করে টাকা দেশে না আনার অভিযোগও রয়েছে তার প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে। জানা গেছে- গেল ৩১ বছরে শেয়ারবাজারের প্রত্যেকটি বড় কেলেঙ্কারিতে সালমান এফ রহমান জড়িত। গেল ৩ বছরে তিনি দৃশ্যমানভাবেই বাজার থেকে নিয়েছেন ৬৬০০ কোটি টাকা। আর অদৃশ্যভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন ২০ হাজার কোটি টাকা । এই বিষয়সহ তার বিরুদ্ধে রয়েছে হাজারো অনিয়মের অভিযোগ।
বাংলাবার্তা/এআর