ছবি : সংগৃহীত
বিগত ১৬ বছর দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকে সংস্কার করে দক্ষ, সৎ ও সাহসী জনবল দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানকে ঢেলে সাজানোর কথা বলেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
শনিবার (৩১ আগস্ট) ঢাকার এফডিসিতে দুর্নীতি প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতার এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিগত বছরে যারা দুদকের নেতৃত্বে ছিলেন যারা ব্যর্থ হয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে বাইরের চাপ ছিল। এই প্রতিষ্ঠানে দক্ষ জনবল, সৎ, সাহসী ও দৃঢ়তার ঘাটতি ছিল। সবমিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটি অকার্যকর ছিল। দুদক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এখন সময় এসেছে দুদকে সংস্কার করে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। এই দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করতে হবে।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত দলীয়করণ করে বিগত ১৬ বছর দুদক, পুলিশসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করা হয়েছে। দলীয়করণের কারণে এসব প্রতিষ্ঠানকে অকার্যকর করে রাখা হয়েছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ১৬ বছরে অনেক টাকা বিভিন্ন দেশে পাচার হয়েছে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা অবশ্যই সম্ভব। কিভাবে আনা যায় সেই পদ্ধতি দুদক জানে। বিগত সময়ে অনেক টাকা পাচার হয়েছে তার কিছু টাকা ফেরত আনার রেকর্ড আছে দুদকে। সাবেক এক প্রধানমন্ত্রীর ছেলের পাচার হওয়া টাকা দুদক ফিরিয়ে এনেছিলো। এই রেকর্ড আছে। যদিও অনেক লম্বা সময় লেগেছে। তারপরও আনা গেছে। তাই এখন পাচার হওয়া টাকা আনা যাবে।
এই সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের লন্ডনে অর্থপাচারের অভিযোগ ও তথ্য উপাত্ত দুদক, বিএফআইইউ, সিআইডিতে দেওয়া হলেও এসব প্রতিষ্ঠান কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
বাংলাবার্তা/এআর