ছবি : সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গুলি করে সাংবাদিক মেহেদী হাসানকে হত্যায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা হয়েছে। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মেহেদী হাসান ঢাকা টাইমস পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালতে মেহেদী হাসানের বাবা মোশাররফ হোসেন মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে যাত্রাবাড়ী থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন।
এ মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, হাবিবুর রহমান, হারুন অর রশিদ, বিপ্লব কুমার।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলার মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের কাছে গুলিতে ঢাকা টাইমস পত্রিকার সাংবাদিক মেহেদী হাসান নিহত হন। এ ঘটনার পর শেখ হাসিনা সরকার থাকাকালে পুলিশ বিএনপি, জামায়াত শিবিরের তাণ্ডবে মেহেদী হাসান মারা গেছেন উল্লেখ করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করে। সরকার পতনের পর মেহেদী হাসানের খালা দাবি করে গত ২৫ আগস্ট শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের নামে মামলা করেন রিজিয়া বেগম। এদিকে সরকার পতনের পর মেহেদী হাসানের পরিবার মামলা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আদালতেও যান মামলা করতে। গিয়ে জানতে পারেন এ ঘটনায় মামলা হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি মামলার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই একজন মহিলা মামলা করে গেছেন। তাকে আমরা চিনি না। আদালতকে গিয়ে বলি, আমি আমার ছেলে হত্যার মামলার বাদী হতে চায়। পরে আদালত ওই মহিলার মামলার স্থগিত করেন। পুলিশের মামলাটাও স্থগিত করেছেন। আমার মামলা গ্রহণ করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাবার্তা/এআর