ছবি : সংগৃহীত
দেশে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ১১ জেলা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই সময় বন্যার্তদের সাহায্যে নগদ অর্থসহ বিভিন্ন অনুদান সংগ্রহ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বন্যার্তদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী, ঔষধ থেকে শুরু করে যেসব অনুদান এসেছিল তা বণ্টন হয়। এর মধ্যে নগদ অর্থ বন্যার্তদের মাঝে ব্যয় করা হয়নি বলেই চলে।
কিছুদিন ধরে এই টাকার বিষয়ে জনগণের মধ্যে সন্দেহের দান বাঁধতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। কোথায় গেল এই টাকা।
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ওই ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, কেউ যদি এক টাকার দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারেন তাহলে দেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নেবো।
ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা বন্যার্তদের পুর্নবাসনের জন্য ব্যয় করা হবে বলে ফেসবুকে দেওয়া ওই ভিডিও পোস্টে জানান তিনি।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ত্রাণ তহবিলের বেশিরভাগ টাকা পরিকল্পিতভাবেই ব্যাংকে রাখা হয়েছে। তহবিল সংগ্রহের শুরুতেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, অর্থ সংগ্রহের সঙ্গে সঙ্গে সব খরচ না করে বেশিরভাগই জমা রাখা হবে। কারণ আগের অভিজ্ঞতা থেকেই আমরা জেনেছি যে, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরবর্তী ধাপে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর অর্থ সহায়তা বেশি প্রয়োজন হয়। বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় এখন ওই অর্থ ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ব্যয় করা হবে। আরও আগে থেকেই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর নির্মাণসহ অন্য কাজগুলো করে দেওয়ার কথা ভাবছিলাম, কিন্তু আয়-ব্যয়ের অডিট কমপ্লিট না হওয়ায় সেটি সম্ভব হচ্ছিল না।
তিনি বলেন, নিরীক্ষা শেষ করে শিগগির তহবিলের সব অর্থ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে ব্যয় করার পরিকল্পনা আছে। এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সরকার যে তহবিল গঠন করেছে, সেখানেই টাকাগুলো দেওয়া হবে। এর ফলে সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবেই আমাদের তহবিলের অর্থ মানুষের কাজে আসবে বলে আশা রাখি। বন্যার্তদের সহযোগিতার উদ্দেশে গঠিত ত্রাণ তহবিলের যে ৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যাংকে রাখা হয়েছে, সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ত্রাণ সহায়তার জন্য যত অর্থ আমরা পেয়েছি, সেগুলোর প্রতিটি পয়সার হিসাব আমাদের কাছে আছে। কাজেই এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রাথমিক ত্রাণ কার্যক্রমে খরচের পর তহবিলের বাকি অর্থের বেশিরভাগই জমা রাখা হয়েছে জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখায়। চাইলেও সেগুলো কেউ আত্মসাৎ করতে পারবে না।
বাংলাবার্তা/এআর