ছবি : সংগৃহীত
*মোট অভিযোগ জমা ১ হাজার ৬০০টি
*৮টি গোপন বন্দিশালার সন্ধ্যান
*৭ নভেম্বর থেকে বাহিনীর সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ
*র্যাবের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সংখ্যক অভিযোগ
দেশের রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে গুমের সঙ্গে ডিজিএফআই, সিটিটিসি, সিআইডি, ডিবি, র্যাব ও পুলিশের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে গুম সংক্রান্ত কমিশন।
আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সভাপতি বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ তথ্য দিয়েছেন।
গুমের সঙ্গে বিভিন্ন বাহিনীর কী পরিমাণ সদস্য জড়িত, এমন প্রশ্নের জবাবে বিচারপতি মইনুল ইসলাম বলেন, সংখ্যাটা এখনি বলা যাচ্ছে না। ৭ নভেম্বর থেকে বাহিনীর সদস্যদের জিজ্ঞাসা শুরু হবে। এরই মধ্যে সমন ইস্যু করা হয়েছে। প্রথম দিন ৭ জনকে ডাকা হয়েছে। পরে ৩ জন, ৭ জন, ৫ জন এভাবে চলবে। এখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ডিজিএফআইয়ের সদস্যও আছে। প্রাথমিকভাবে ডিজিএফআই, সিটিটিসি, সিআইডি, র্যাব, ডিবি ও পুলিশের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে।
কমিশনের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গুম সংক্রান্ত কমিশনে ১ হাজার ৬ শতাধিক অভিযোগ দাখিল হয়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে ৩৮৩টি যাচাই বাছাই-করা হয়েছে। এর মধ্যে র্যাবের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ১৭২টি, সিটিসির বিরুদ্ধে ৩৭টি, ৫৫টি ডিবি, ২৬টি ডিজিএফআই, ২৫টি পুলিশ এবং অন্যভাবে গুমের ঘটনা ৬৮টি।
গুমের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে বাহিনীগুলোর ৮টি গোপন বন্দিশালার সন্ধ্যান পেয়েছে গুম কমিশন। এসব বন্দিশালায় গুম করা ব্যক্তিদের বছরের পর বছর আটকে রেখে নির্যাতন করা হতো।
মইনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ আসামিদের কিভাবে গ্রেপ্তার বা আট করবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত গাইড লাইন রয়েছে। কিন্তু তা মানা হয়নি। আইজিপি দেশের বাইরে রয়েছেন, তিনি ফিরলে কমিশনে নিয়ে আসব। একটা সার্কুলার দিতে বলব। এতে মানুষের দুর্ভোগ কমবে, আর ভায়োলেন্সও হবে না। গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জমা দেওয়ার সময় গত ৩১ অক্টোবর মাসে শেষ হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার গত ২৭ আগস্ট গুম কমিশন গঠন করে। কমিশনের কাছে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে সকল গুমের ঘটনার অভিযোগ জানানোর সুযোগ রাখা ছিল
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের সদস্যরা হলেন- হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারপতি মোহাম্মদ ফরিদ আহমেদ শিবলী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস, মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন ও নূর খান।
বাংলাবার্তা/এমআর