ছবি : সংগৃহীত
নিষিদ্ধ বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে কেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেই ব্যাখা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ড. ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং দেশজুড়ে সন্ত্রাসী কাজের মাধ্যমে ছাত্রলীগ অনিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। এ কারণেই ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হয়েছে।’
ছাত্রলীগকে কেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে তা নিয়ে বিএনপির কয়েকজন নেতাসহ কিছু লোক প্রশ্ন তোলা ও সমালোচনা করায় প্রেস সচিব এই ব্যাখ্যা দিলেন। যদিও ছাত্রলীগকে যে প্রজ্ঞাপন জারি করে নিষিদ্ধ করা হয়, সেখানে এর ব্যাখা রয়েছে।
আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘নিরাপদ বাংলাদেশ চাই’ শিরোনামে এক সেমিনারে তিনি এই ব্যাখ্যা দেন।
এ সময় নতুন করে রাষ্ট্র মেরামত করতে হলে শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস দূর করত হবে বলেও জানান প্রেস সচিব। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাঙ্গনকে নিরাপদ করতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে পারে। ক্যাম্পাসগুলোকে কোনো ধরনের সন্ত্রাসের আখড়া করা যাবে না। নতুন বাংলাদেশ গড়তে যেন শিক্ষার্থীরা নিরাপদ ক্যাম্পাসে থেকে উদ্ধুদ্ধ হয়।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে ছাত্রদের আন্দোলনের বিপক্ষে ছিল ছাত্রলীগ। ফ্যাসিবাদের বয়ান তৈরি করেছে ছাত্রলীগ। পুরো জাতিকে জিম্মি করে রেখেছিল তারা। চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরি করে রেখেছিল। সাধারণ ছেলে-মেয়েদের চাকরি পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে রাখে। বাংলাদেশকে নিরাপদ করতে হলে শিক্ষাঙ্গনকে নিরাপদ করতে হবে। শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস দূর করতে হবে।’
গত ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘যেহেতু বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করিয়া বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজী, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এতৎসম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সকল প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হইয়াছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।’
বাংলাবার্তা/এমআর