ছবি : সংগৃহীত
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবার সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করে সক্ষমতার জানান দিতে চায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এ লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটি।
আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও ম্যানেজমেন্টের কঠোর পদক্ষেপের কারণে শাহজালাল বিমানবন্দরে সেবার মানে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছে বিমান।
বিমান বাংলাদেশ বুধবার (১৩ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ‘তৃতীয় টার্মিনাল ঘিরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। জনবল নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি নতুন নতুন ইক্যুয়িপমেন্ট ক্রয় করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু ইক্যুয়িপমেন্ট বিমানের জিএসই বহরে যুক্ত হয়েছে।’
‘এছাড়াও কয়েক মাসের মধ্যে পুশব্যাক টো ট্রাকটর, এয়ার স্টার্ট ইউনিট, কন্টেইনার প্যালেট ইউনিট, এম্বুলিফট, প্যাসেঞ্জার স্টেপ, বেল্ট লোডার, কন্টেইনার প্যালেট ট্রান্সপোর্টার, কন্টেইনার প্যালেট লোডার, ওয়াটার কার্ট, ফ্লাশ কার্টসহ এ ধরনের প্রায় ৭০টি ইক্যুয়িপমেন্ট বিমানের জিএসই বহরে যুক্ত হবে। এছাড়াও এয়ারপোর্ট সার্ভিস, জিএসইসহ বিভিন্ন শাখায় দক্ষ জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।’
‘২০২৩ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনাকারী ৩৫টি বিদেশি এয়ারলাইন্স ও ১২টি নন-শিডিউল বিদেশি এয়ারলাইন্সসহ ৫৭ হাজার ৩৫০টি ফ্লাইটের ৯২ লাখ ১ হাজার ৯৪২ জন যাত্রীকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সার্ভিস প্রদান করেছে। ২ কোটি ৩০ লাখ ব্যাগেজ হ্যান্ডেল করেছে। বর্তমানে প্রথম ব্যাগেজ প্রাপ্তির গড় সময় ১৮ দশমিক ৬৬ মিনিট এবং শেষ ব্যাগেজ প্রাপ্তির গড় সময় ৪৮ মিনিট।’
‘গত জুনে ব্যাগেজ ওটিপি ৯৬ দশমিক ৪২ শতাংশে উন্নীত হয়। সেপ্টেম্বরের ব্যাগেজ ওটিপি ৯২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। বর্তমানে বিমানের নিজস্ব ফ্লাইট ওটিপি ৮২ দশমিক ৭০ শতাংশ। বিমানের ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং সার্ভিসে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা বৃদ্ধিসহ সংশ্লিষ্ট বিমানকর্মীদের দেহে ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।’
তারা বলছে, ‘সেবার ক্ষেত্রে যাত্রীদের অভিযোগকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং প্রযুক্তির সহায়তায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অভিজ্ঞ জনবল, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও থার্ড টার্মিনালের উন্নত অবকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যাত্রী, আমদানি-রপ্তানিকারক ও দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্সকে আধিকতর উন্নত সেবা প্রদানে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। যাত্রীদের ভ্রমণকে অধিকতর আনন্দদায়ক ও মনোরম করতে বিমান বদ্ধপরিকর।’
‘একশ্রেণির তথাকথিত বিশেষজ্ঞ মহল’ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে সক্রিয় রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির।
বিমান বলছে, ‘কোনরূপ তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন ছাড়াই বিভিন্ন গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মনগড়া বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিমান তথা দেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং খাত থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিমান উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় করে থাকে। বাইরের প্রতিষ্ঠানকে এ দায়িত্ব দিলে দেশ বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাবে এবং দেশের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের স্বার্থবিরোধী কুচক্রী মহল বিভিন্ন মাধ্যমে সক্রিয় রয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যাত্রী ও স্টেকহোল্ডারদের উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যমে দেশের স্বার্থ রক্ষায় সচেষ্ট রয়েছে।’