ছবি : সংগৃহীত
এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জিয়াউল আহসানকে বসনিয়া-হার্জেগভনিয়ার ‘কসাই’ খ্যাত রাদোভান কারাদজিচের সঙ্গে তুলনা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনালে শুনানিতে জিয়াউল আহসানের কর্মকাণ্ড নিয়ে এ মন্তব্য করেন।
তাজুল ইসলাম তিনি বলেন, জিয়াউল আহসান র্যাবের বিভিন্ন পদে ছিলেন। তিনি সর্বশেষ এনটিএমসির মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। দেশে গুম, গুম পর পৈশাচিক নির্যাতন, হত্যা করে মরদেহ ডিসপোজাল করার কালচারের জনক ছিলেন জিয়াউল আহসান। আওয়ামী সরকারের সময় যারা বিরোধী দলে থেকে বিভিন্ন সময় কথা বলার চেষ্টা করেছে তাদের তিনি একের পর এক পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করেছেন, গুম করেছেন, বছরের পর বছর আটকে রেখেছেন। তাদের মধ্যে বহু মানুষ আজও ফিরে আসেনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা জেনেছি- জিয়াউল আহসানের নেতৃত্বেই বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে গুম এবং পরে হত্যা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতা জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার ঘটনায় উধ্বর্তন আট কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে প্রিজন ভ্যানে করে ৮ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন— সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জিয়াউল আহসান, ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল কাফি, ডিএমপির সাবেক ডিসি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত সুপার মোহাম্মদ শাহিদুর ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ মাজহারুল হক এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
বাংলাবার্তা/এমআর