ফাইল ফটো
অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে প্রধান দুটি চ্যালেঞ্জ-রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী ও নাগরিক সমাজ চায়-কোনো সরকার যাতে ভবিষ্যতে দানবে রূপ না নেয়, এ জন্য রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে। এছাড়াও মূল্যস্ফীতি, অর্থনীতি ও বিভিন্ন খাতভিত্তিক বৈষম্য দূর করাসহ নানামুখী চাপে সরকার।
এদিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দ্রুত সময়ের সম্পন্ন করতে বিভিন্ন মহলের চাপ বাড়ছে। বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি মনে করে, নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার দরকার, অন্তর্বর্তী সরকারের সেটুকু করা উচিত। বাকিটা নির্বাচিত সরকার করবে। কারণ, বড় সংস্কারের বৈধতা দিতে সংসদ জরুরি।
এ ক্ষেত্রে জামায়াতসহ অন্য রাজনৈতিক দলের অবস্থান আরেকটু ভিন্ন। তারা সংস্কারের জন্য যৌক্তিক সময় দিতে চায়।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন ও সংস্কার-এ দুই দাবির মধ্যে যৌক্তিক ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রা শুরু। তখন পুরো দেশ ছিল অগোছালো ও বিচ্ছিন্ন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যত দ্রুত হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে, সেটি গ্রহণ করার প্রস্তুতি কারও ছিল না। ফলে পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ নিয়ে পথচলা শুরু করে এ সরকার। সাদা চোখে ১০০ দিনে তেমন বড় অর্জন হয়তো নেই। তবে সম্ভাবনা বিশাল। আশার কথা হলো-ইতোমধ্যে কিছুটা গুছিয়ে উঠতে শুরু করেছে।
সরকারি তথ্য অনুসারে, দায়িত্ব নেওয়ার পর এ পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদের ১২টি বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ৫৬টি। এর মধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে ৩৯টি। এছাড়া দুটি নীতিমালা ও ৮টি চুক্তি অনুমোদন এবং ১০টি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।
বাংলাবার্তা/এমআর