ছবি : সংগৃহীত
ভারতীয় আদানি গ্রুপ থেকে বিদ্যুৎক্রয় অর্ধেক কমিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সূত্র বলছে, অন্তর্বর্তী সরকার বকেয়া অর্থের বোঝা আর না বাড়াতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স সোমবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছে।
এর আগে ৩১ অক্টোবর থেকে আদানি গ্রুপ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছিল।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড-বিপিডিবি বলছে, বাংলাদেশ আদানি গ্রুপ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। এর মূল কারণ হলো আবহাওয়া। বাংলাদেশে শীত মৌসুম শুরু হয়েছে। তাই বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটাই কমে গেছে।
বিআরডিবির চেয়ারপারসন মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘ভারতের আদানি গ্রুপ প্রথমে বিদ্যুৎ দেওয়া কমিয়ে দিয়েছিল। সেই সময় বাংলাদেশের চাহিদা বেশি ছিল। তখন আমরা তাদের সিদ্ধান্দে ক্ষুব্দ ছিলাম। আমরা এটি চাচ্ছিলাম না। তাও তারা কমিয়েছিল। এখন আমাদের চাহিদা কমে গেছে। তাই আমরাই আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ নেওয়া কমিয়ে দিয়েছি।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে ২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় বিষয়ক চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। ২৫ বছর মেয়াদী সেই চুক্তির শর্ত মেনে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম একটি তাপভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে আদানি গ্রুপ। শুধু বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য এই কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে।
আদানি ছাড়াও ভারতের আরও কয়েকটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় করে বাংলাদেশ। সেসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ৯ দশমিক ৫৭ টাকা দরে কেনা হয় বিদ্যুৎ। অন্যদিকে আদানি গ্রুপের কাছ থেকে যে বিদ্যুৎ ক্রয় করা হয়, তার প্রতি ইউনিটের মূল্য ১৪ দশমিক ৮৭ টাকা।
আদানি গ্রুপের কাছ থেকে ক্রয়কৃত বিদ্যুৎ আবার বাংলাদেশে ৮ দশমিক ৯৫ টাকায় বিক্রি করে বাংলাদেশ। এভাবে প্রতি বছর বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকিম বাবদ বাংলাদেশের সরকারকে ব্যয় করতে হয় ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
বাংলাবার্তা/এমআর