ছবি : সংগৃহীত
তাবলীগ জামায়াতের সাদপন্থী নেতা মুয়াজ বিন নূর গ্রেফতার হয়েছেন। গাজীপুরের টঙ্গরে বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. ইস্কান্দর হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি ইস্কান্দর বলেন, ‘রাতে (বৃহস্পতিবার) সাদপন্থী নেতা মুয়াজকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকার উত্তরা থেকে সাদপন্থী এই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা সাদ অনুসারী ও শুরায়ে নেজামপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে চারজন নিহত হয়েছেন এবং অর্ধশত আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী এসএম আলম হোসেন বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকশ জনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মাওলানা সাদ কান্ধলভির বেশকিছু বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। এরপর নানা অসন্তোষের সত্ত্বেও ২০১৮ সালের বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশে আসেন তিনি। তখন এ নিয়ে বাংলাদেশে নানা তর্ক-বিতর্ক তৈরি হয়। মাওলানা সাদকে কোনোভাবেই ইজতেমায় অংশগ্রহনের সুযোগ দেয়া যাবে না বলে দাবি জানান ওলামায়ে কেরাম। এসব দাবির মুখে ইজতেমায় অংশগ্রহণ না করেই কাকরাইল মসজিদ থেকে ভারতে চলে যান তিনি। এরপর থেকে তাকে আর বিশ্ব ইজতেমায় উপস্থিত হতে দেখা যায়নি। যদিও প্রতিবার তাকে ইজতেমায় উপস্থিত করতে চেষ্টার কমতি রাখেন না তার অনুসারীরা। মাওলানা সাদকে ঘিরে বিরোধের কারণে ২০১৮ সাল থেকে আলাদাভাবে দুই পক্ষ তিন দিন করে ইজতেমার আয়োজন করা শুরু করে।
প্রায় এক শতাব্দি আগে মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভি (রাহ.)-এর মাধ্যমে প্রচলিত দাওয়াত তাবলীগের সঙ্গে পরিচয় হয় মুসলমানদের। মহান এ জামাতের মেহনতের মাধ্যমে বহু পথভোলা, অন্ধকার পথের যাত্রী আলোর পথে ফিরে আসে। দাওয়াত ও তাবলীগ মুসলিম ও অমুসলিম সব দেশে সমান তালে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাবার্তা/এমআর